দক্ষিণ এশিয়ার বয়স ভিত্তিক নারী ফুটবলে বাংলাদেশ নিজেদের আধিপত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে আগেই। গেল বছর ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ বালিকা ফুটবলের প্রথম আসরে শিরোপা জিতে। সেই আধিপত্বই এখন আরো জোড়ালো হওয়ার অপেক্ষা। ভুটানে বালিকা সাফের দ্বিতীয় আসরেও ফাইনালে পা রেখেছে বাংলাদেশ। আর সেটি প্রতি ম্যাচে নিজেদের আধিপত্ব দেখিয়ে। ফাইনালে উঠার পথে বৃহস্পতিবার সেমি ফাইনালে স্বাগতিক ভুটনাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা।
ভুটানের রাজধানী থিম্পুর চালিমিথাং স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হয় ম্যাচটি। এর আগে প্রথম সেমি ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে ভারত। শনিবার বালিকা সাফে তাই আরো একটি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল দেখবে সবাই। গেলবার ঘরের মাঠে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে লিড নেয় বাংলাদেশের মেয়েরা। দ্বিতীয়ার্ধে করে আরো দুই গোল। গ্রুপের দুই ম্যাচ আর সেমি ফাইনাল মিলে ৩ ম্যাচে আসরে বাংলাদেশের গোল সংখ্যা- ২২টি। প্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ১৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে আসর শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালকে হারায় ৩-০ ব্যবধানে।
ম্যাচের ১৮ মিনিটে প্রথম লিড পায় বাংলাদেশ। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে বল জালে জড়ান আনাই মগিনী। গোল করে সবার আগে ছোট বোন (যমজ) আনুচিংকেই জড়িয়ে ধরে উদযাপন করেন এই ডিফেন্ডার। সেই আনুচিংই দ্বিতীয় গোল এনে দেন বাংলাদেশকে। ৩৮ মিনিটে ডি বক্সের সামান্য বাইরে থেকে আড়াআড়ি ভলিতে বল জালে জড়ান আনুচিং। ৪৩ মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের ভুলের সুযোগ নিয়ে ফের এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের। এবার গোলদাতা তহুরা খাতুন।
বিরতির পর ৬৯ মিনিটে দলের পক্ষে চতুর্থ গোলটি করেন অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা। মিডফিল্ড থেকে একাই বল নিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন তিনি। এরপর ৮৬ মিনিটে বাংলাদেশের পক্ষে পঞ্চম গোল সাজেদা খাতুনের। শানসুন্নাহারের বলে গোল করেন সাজেদা। অর্থাৎ এদিন ৫টি গোল এসেছে ভিন্ন পাঁচ জনের পা থেকে।