• ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

সিলেটে শঙ্কামুক্ত আ.লীগ, শঙ্কিত বিএনপি

bijoy71news
প্রকাশিত ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮

নুরুল হক শিপু :

শেষ সময়ে সকল কোন্দল আর বিভেদ ভুলে একাট্টা হয়েছে আওয়ামী লীগ। যার কারণে নির্বাচনি মাঠে দলটি এখন অনেকটাই শঙ্কামুক্ত। আর মামলা আর গ্রেপ্তার এড়াতেই বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। এর কারণে দলটি নির্বাচনি মাঠে প্রচারণায়ও পিছিয়ে ছিল।

সিলেট জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে শুধু একটিতে (সিলেট-২) আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। তবে বাকি পাঁচ আসনে সময় যত যাচ্ছে ততই অবস্থান সুসংহত হচ্ছে বলে দাবি আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের। অবশ্য তাদের জন্য মাথাব্যথা দলীয় কোন্দল ও মহাজোটের ‘বিদ্রোহীরা’।

অন্যদিকে প্রচারের চেয়ে মামলা আর গ্রেপ্তার এড়াতেই বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে বিএনপি নেতাকর্মীদের। এর ফলে ভোটের মাঠেও তারা পিছিয়ে পড়ছেন বলে মনে করছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পুলিশি হয়রানির কারণে তারা ঠিক মতো প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নামতে পারছেন না। প্রতিদিনই তাদের কাউকে না কাউকে আটক করা হচ্ছে। কিংবা কারো নামে হচ্ছে মামলা।

আর আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ এবং ভোটের মাঠ আরো জমজমাট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রেখেছে দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দু দফা সিলেট সফর। চলতি বছরই দুই দফা সিলেট সফর করেন শেখ হাসিনা। বছরের শুরুতে ৩০ জানুয়ারি এবং সর্বশেষ ২২ ডিসেম্বর সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে জনসভায় শেখ হাসিনা নৌকা মার্কা এবং মহাজোট প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন। ২২ ডিসেম্বরের জনসভায় বিভাগের ১৯টি আসনের প্রার্থীদেরও মঞ্চে তুলে তিনি নিজে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষেও কাজ করতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। সর্বশেষ জনসভায় ভোট শেষে লাঙলের প্রার্থীদের নৌকায় তুলে নেওয়ারও আশ্বাস দেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার সফর শেষে পাল্টে গেছে সিলেটের নির্বাচনি মাঠের প্রেক্ষাপট। ২২ ডিসেম্বরের পর গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সিলেটের নির্বাচনি মাঠেরও সমীকরণ অনেকটা বদলে গেছে। এর ফলে ভোটর ও সমর্থকদের গতিবিধিও পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। এতে সিলেটের ৬টি আসনের প্রার্থীদের জয়-পরাজয়ের ধারণাও পাওয়া যাচ্ছে।

সিলেট-১ (সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলা) : এই আসনে সংখ্যালঘু ভোটার এক লাখের কাছাকাছি। তাদের একটি বড় অংশ চা-শ্রমিক, যাদের ভোট বিএনপির জন্য বড় ফ্যাক্টর। কারণ এই ভোটগুলো কখনই বিএনপির অনুক‚লে যায়নি। চা-শ্রমিকরা সাধারণত সকল জাতীয় নির্বাচনে নৌকাকেই বেছে নেন। তাই এসব ভোট আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. একে আব্দুল মোমেনের বাক্সেই যাবে বলে অনেকটা পরিষ্কার। ড. মোমেন নিজেও দাবি করেছেন, এই আসনের ভোটাররা শেষ পর্যন্ত তাকেই বেছে নেবেন। তবে সদর উপজেলায় নির্বাচনি প্রচারে ড. মোমেন এখনো খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন। যদিও মনোনয়ন নিয়ে দলীয় কোন্দল প্রশমিত হয়েছে। মনোনয়নবঞ্চিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান অভিমান ভুলে এরই মধ্যে শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকার প্রার্থী মোমেনের জন্য প্রচারে নেমেছেন। কিন্তু মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী লাঙল প্রতীক নিয়ে শেষ পর্যন্ত মাঠে রয়েছেন।

সিটি কর্পোরেশনের বাইরে সদর উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের ভোটব্যাংক রয়েছে। বাবার নামে গড়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দীর্ঘদিন তিনি সেসব এলাকায় কাজ করছেন। তবে ঠিকমতো প্রচার চালাতে না পারায় এই ভোট ব্যাংকে বেশ প্রভাব দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা। তাই ভোটের সমীকরণে শেষ পর্যন্ত এ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. একে আবদুল মোমেনই এগিয়ে আছেন।

সিলেট-২ (বিশ্বনাথ, ওসমানীনগর ও বালাগঞ্জ একাংশ) : এই আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কোনো প্রার্থী নেই। মহাজোট থেকে লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করছেন বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া। কিন্তু আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নবঞ্চিত দুই প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও দলের যুক্তরাজ্য শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর অনুসারীরা মেনে নিতে পারছেন না তাকে। এ আসনের বড় ফ্যাক্টর ছিলেন নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনা। এহিয়ার করা রিট পিটিশনে লুনার প্রার্থিতা স্থগিত হলেও সুবিধা পাচ্ছেন না এহিয়া। তার রিটের কারণে লুনার প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি বিএনপির নেতাকর্মী ও ভোটারারও। ইলিয়াসপন্থি নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে এহিয়াকে প্রতিহত করারও ঘোষণা দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বেকায়দায় আছেন বর্তমান এ এমপি।

তবে এ আসনে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মুহিবুর রহমান এবং ড. এনামুল হক সরদার। খেলাফত মজলিসের মুনতাসির আলী শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন পাননি। আবার ঐক্যফ্রন্টের সমর্থন পেয়েও সুবিধাজনক অবস্থানে নেই গণফোরামের মোক্কাবির হোসেন। তাই ভোটের রায়ে এ আসন মহাজোটের হাত ছাড়া হওয়া শঙ্কা থাকলেও শেষ হাসি হাসতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ ঘরানার স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী মুহিবুর রহমান অথবা ড. এনামুল হক সরদার।

সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা-ফেঞ্চুগঞ্জ) : এ আসনের বর্তমান এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী। এবারও তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে একাট্টা আওয়ামী লীগের একটি অংশ। তাদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু জাহিদ এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রইছ আলীসহ একটি অংশ। এ ছাড়া মনোনয়নবঞ্চিত দুই নেতা দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমানেরও মান শেষ পর্যন্ত ভাঙাতে পারেননি মাহমুদ উস সামাদ। আসনটিতে রয়েছে মহাজোটের প্রার্থী জট। জাতীয় পার্টির হয়ে নির্বাচন করছেন দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলার সদস্য সচিব উছমান আলী। এলাকায় তার অনেক অনুসারী রয়েছেন। এর ফলে তিনিও এখানে ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন। এখানে বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী। ধনকুবের ব্যবসায়ী হিসেবে সিলেটে তার পরিচিতি রয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা একাট্টা হতে পারলে তিনিও এগিয়ে থাকবেন। তবে জয় পেতে বিএনপি প্রার্থীকে অবশ্যই জামায়াতের ভোট নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করছেন অনেকে। এই আসনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত এবং বিএনপির প্রার্থী নির্বাচন করেছিলেন। এর কারণে এখানে জামায়াতের সাথে বিএনপির দূরত্ব দীর্ঘদিনের। অবশ্য আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতারা ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নির্বাচনি মালা পরার সম্ভাবনা বর্তমান এমপি সামাদ চৌধুরীর। ফুলতলীর পিরের আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইতোমধ্যে সমর্থন দিয়েছে মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীকে। এতে শঙ্কায় থাকা সামাদ এখন অনেকটাই শঙ্কামুক্ত। তবে অনাকাক্সিক্ষত কিছু ঘটলে এই অঘটনের কারণ হতে পারেন জাপা প্রার্থী উছমান আলী। মহাজোটের দুই প্রার্থী হওয়ায় ভোট ভাগাবাগির সম্ভাবনাও রয়েছে আসনটিতে।

সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর-গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগঞ্জ) : আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনেও ফ্যাক্টর হতে পারে জাতীয় পার্টির ভোট। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান এমপি ইমরান আহমদ। তার প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির প্রার্থী দিলদার হোসেন সেলিম। বিএনপির সাবেক এই এমপি একক প্রার্থী হওয়ায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে এ আসনে ভেদাভেদও তেমন একটা নেই।

স্থানীয়রা বলছেন, দেশের বৃহত্তম পাথর কোয়ারি সমৃদ্ধ এই এলাকায় পাথর শ্রমিকদের ভোটের বড় প্রভাব রয়েছে। আর সে ক্ষেত্রে এই দুই প্রার্থীর মধ্যে যিনি শ্রমিকনেতাদের পাশে রাখতে পারবেন, তারই জয়ের সম্ভাবনা। অবশ্য এক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন বর্তমান এমপি ইমরান আহমদ। এ আসনে পাথর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকারীদের অন্যতম দুজন হচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা লিয়াকত আলী ও শামীম আহমদ। তারা দুজন ইমরান আহমদের লোক হিসেবে পরিচিত হলেও সা¤প্রতিক সময়ে মামলা ও টেন্ডার নিয়ে তাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে। তাই ইমরানকে আগে এই দূরত্ব ঘোচাতে হবে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য লাঙল প্রতীকের প্রার্থী এটিইউ তাজ রহমানও ভাগ বসাতে পারেন নৌকার ভোটব্যাংকে। তারও বিপুল সমর্থক রয়েছে এলাকায়। তবে শেষ পর্যন্ত সকল জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে ইমরান অথবা দিলদার সেলিম হতে পারেন এমপি।

সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) : মাদ্রাসাবহুল এলাকা সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট। আসনটি গত নির্বাচনে জাপাকে ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে এবার এখানে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদার। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির হয়ে মাঠে থেকে গেছেন বর্তমান এমপি এরশাদের উপদেষ্টা সেলিম উদ্দিন। এর ফলে মহাজোটের ভোট ভাগ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তবে শিক্ষানুরাগী ও সজ্জন হিসেবে পরিচিত হলেও হাফিজ আহমদ মজুমদার মাদ্রাসাবিরোধী বলে এখানে প্রচার রয়েছে। তাই বিষয়টি মাথায় রেখে ঐক্যফ্রন্ট এখানে প্রার্থী দিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মাওলানা ওবায়দুল¬াহ ফারুককে।
এই এলাকায় ইসলামপন্থি গ্রæপগুলোর অন্তত চারটি শক্তিশালী ধারা রয়েছে। জামায়াতে ইসলামী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, জমিয়তুল উলামা এবং ফুলতলী পিরের আঞ্জুমানে আল ইসলাহ। বিএনপির কাছে এই আসনটি চেয়ে ব্যর্থ হলেও শেষ সময়ে মাওলানা ওবায়দুল¬াহ ফারুককে সমর্থন দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আর ফুলতলী পিরের অনুসারীরা আছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাফিজ মজুমদারের সঙ্গে। মাওলানা আলীমুদ্দিন দুর্লভপুরির নেতৃত্বধীন জমিয়তুল উলামার বেশ প্রভাব রয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নিজস্ব ভোটব্যাংকের বাইরে জামায়াত, জমিয়তুল উলামা (দুর্লভপুরি) এবং জমিয়তে উলামার পক্ষাবলম্বনের ওপরই নির্ভর করছে এই আসনের জয়-পরাজয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মাওলানা আলীমুদ্দিন দুর্লভপুরি কাউকে সমর্থন না দিলেও জাপা প্রার্থী সেলিম উদ্দিনের প্রতি তার দুর্বলতা রয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) : হেভিওয়েট প্রার্থী হয়েও নেতাকর্মীদের সঙ্গে দূরত্বের কারণে এখানে বেকায়দায় ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। সুবিধাভোগীদের সঙ্গে নিয়ে চলেন এমন অভিযোগে তার ওপর নাখোশ ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। তবে শেষ সময়ে নাহিদ সকলের মান ভাঙাতে পেরেছেন। তার পক্ষে আওয়ামী লীগ নেতারা ঐক্যবদ্ধভাবে নেমেছেন মাঠে। তবে নাহিদকে আবারও এখানে মনোনয়ন দেওয়ায় নাখোশ কানাডা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সারওয়ার হোসেন। অবশ্য দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতারা ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় এবং ফুলতলী পিরের আঞ্জুমানে আল ইসলাহর সমর্থন পাওয়ায় নাহিদ শিবিরে স্বস্তি ফিরেছে।

এবার এ আসনে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে বিএনপি বেছে নিয়েছে আল বারাকা গ্রæপের চেয়ারম্যান ফয়সল আহমদ চৌধুরীকে। নির্বাচনে নতুন হলেও সাবেক ছাত্রনেতা ও ব্যবসায়ী হিসেবে তার প্রভাব রয়েছে। স¤প্রতি তিনি একটি স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাও প্রকাশনা শুরু করেছেন। তবে ফয়সলের মনোনয়ন নিয়েও নাখোশ তার দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হেলাল খান, এমরান আহমদ ও শরিক দল জামায়াতে ইসলামী। তার উপর নাখোশ নেজামে ইসলামী পার্টির মাওলানা আব্দুল রকিবও। এমন পরিস্থিতিতে গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের ভোটাররা চান এই আসনে এমন ব্যক্তিই নির্বাচিত হোন, যিনি ফের মন্ত্রী হবেন।