আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে ‘গুজব বিরোধী জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞান (টিভিসি)’ -এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামলা উদ্দিন ও র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।
অনুষ্ঠানের বক্তব্যে গুজব বা মিথ্যা তথ্যকে দিয়াশলাইয়ের কাঠির সঙ্গে তুলনা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি দিয়াশলাই কাঠি যেমন মুহূর্তের মতো বিশাল অগ্নিকাণ্ড ছড়াতে পারে, তেমনি একটা গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে সামাজ ও রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে।
ডিজিটাল বাংলাদেশে গুজবকে ইন্টারনেটের কুফল বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পথে আমরা অনেক দূর চলে গেছি। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। কিন্তু সুফলের সঙ্গে এর অপব্যবহারও করা হচ্ছে।
এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে কয়েকমাস আগে ঘটে যাওয়া শিক্ষার্থীদের দেশব্যাপী নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের কথা তুলে ধরেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, স্কুলের ছেলেমেয়েরা যে রাস্তায় নেমে এসেছিল। যদিও তারা একটা সঠিক কারণেই রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু সেখানে একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব রটিয়ে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করেছিল।
এসময় তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের কথাও উল্লেখ করেন।
এরপর মন্ত্রী বলেন, গুজব আইনের দৃষ্টিতে দণ্ডনীয় অপরাধ। যারাই গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে ও চেষ্টা করছে তাদের আমরা চিহ্নিত করেছি ও এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ ক্ষেত্রে র্যাব সফলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, তথ্য আমাদের অধিকার। কিন্তু তথ্য সঠিকভাবে যাচাই না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার বা আপলোড করা যাবে না।
র্যাব গুজব রটানো সাইবার অপরাধীদের ওপর নজর রাখছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।