জাতীয় পরিচয় পত্রের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এখন থেকে উপজেলা কার্যালয়েই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত এক বৈঠকের আগে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসি সচিব বলেন, আগে একজনের আঙুলের ছাপ অন্যজনের সঙ্গে মিলে গেলে সমাধান পেতে মাঠ পর্যায় থেকে ভুক্তভোগীকে ইসিতে আসতে হতো। এখন থেকে এসব আপডেট করার জন্য আর ঢাকায় আসতে হবে না। উপজেলা কার্যালয়েই সমাধান পাওয়া যাবে।
২০১৫ সালে ভোটার হওয়ার পর সম্প্রতি এক ব্যক্তি পুনরায় ভোটার হতে পেরেছেন- এমন বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কর্মকর্তারা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ওলট-পালটের কথা বলেন। বাম হাতের জায়গায় ডান হাত ব্যবহার করতে বলেন।
এ সময় সচিব বলেন, বাম হাত ডান হাতের বিষয় তো পরে। পায়ের আঙুল দিয়েও নাকি ভোটার হচ্ছে। পায়ের আঙুল দিয়েও ভোটার হয়। ফিঙ্গার প্রিন্ট যেখানে নেয়া হচ্ছে, সেই জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার চেষ্টা করছি। এই সিস্টেমে যেহেতু ঘাটতি ছিল এগুলোই আমরা আস্তে আস্তে ডেভেলপ করছি।
তিনি আরো বলেন, আজ আমরা ৬টি জেলার ৪২টি উপজেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসেছি। এর আগে, তিন অঞ্চলের ২৬টি জেলার ১৫১টি উপজেলার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এই সভাগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে এনআইডি সেবা সহজীকরণ, জনবান্ধবকরণ এবং দুর্নীতি মুক্ত করা। সভায় কারো কোনো সুপারিশ থাকলে নোট করা হবে। নতুন কোনো প্রযুক্তি যোগ করতে হলে সেটাও করা হবে। প্রতিটি অফিসে এনআইডিসহ যাবতীয় সেবা সহজ করতে হবে। অফিসগুলো যেন জনগণের সেবাকেন্দ্র হয়।
শফিউল আজিম বলেন, যেসব অফিসে বেশি সংশোধনের আবেদন পেন্ডিং আছে সেই অফিসগুলো আমরা চিহ্নিত করবো। কিছু কাজ আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনারদের হাতে থাকে, সেগুলো আমাদের হাতে থাকে না। তাই কমিশনের সব কাজ ও সিদ্ধান্তের দায়িত্ব আমরা নিতে পারি না।