ডেস্ক রিপোর্ট ::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের শিশুরা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে, বিবেককে জাগ্রত করেছে। তাই আমি আশা করব, জনগণ বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষানুযায়ী সকলেই তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করবেন।’
আজ রোববার ঢাকা বিমানবন্দর সড়কে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজসংলগ্ন পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণকাজের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। তিনি এ সময় সরকারি কর্মচারীদের তাঁদের দায়িত্ব আন্তরিকতার সঙ্গে প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষানুযায়ী পালনের আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। চালক ও তাঁদের সহকারীদেরও আইন মানতে হবে। ওভারটেকিং না করে লাইন দিয়ে বাস চালাতে হবে। ওভারটেক করতে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজের নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম এবং আবদুল করিম রাজীবের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
মিম ও রাজীব ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শহীদ রমিজ উদ্দিন স্কুল ও কলেজের কাছেই জাবালে নূর পরিবহনের বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারায় এবং এ দুর্ঘটনায় আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ চত্বরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশ মহাপরিদর্শকের উদ্দেশে বলেন, সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথভাবে নির্দেশ দিতে হবে, যেন কোনো রকম অনিয়ম না হয়।
সড়কে ট্রাফিক সম্পর্কিত অপরাধ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অনেক সময় শনাক্ত করতে পারে না এ কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সব সড়কে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন ও ডিজিটাল নম্বর প্লেট ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এর মাধ্যমে লেজার সিগন্যাল দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অনিয়ম শনাক্ত করা যাবে।
প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারি কর্মচারীদের অহেতুক বিলম্ব পরিহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই আন্ডারপাস প্রকল্পটি যথাসময়ে বাস্তবায়িত হলে দুটি অমূল্য প্রাণ হয়তো এভাবে ঝরে যেত না।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বক্তৃতা করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামুদ্দিন আহমেদ এবং জ্যেষ্ঠ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান সরকার প্রকল্প সংশ্লিষ্ট উপস্থাপনায় জানান, সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং বিগ্রেড ৪৩ মিটার দীর্ঘ এই মাল্টিপারপাস অত্যাধুনিক আন্ডারপাসটির নির্মাণকাজ ১ বছরের মধ্যে শেষ করবে। সরকারের অর্থায়নে এর ব্যয় নির্ধারিত হয়েছে ৫৪ কোটি টাকা।