• ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে একজন নুরুল ইসলাম নাহিদ

bijoy71news
প্রকাশিত অক্টোবর ২৪, ২০১৬

11নিজস্ব প্রতিবেদক :: সদ্য সমাপ্ত কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হয়েছে নুরুল ইসলাম নাহিদ। নাহিদ জাতীয় সংসদের ২৩৩ সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনের দুইবারের নির্বাচিত এবং একবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী সাংসদ নাহিদ আওয়ামী লীগ সরকারের দুইবারের শিক্ষামন্ত্রী। সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হওয়ার আগে দলের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। জাহানারা ইমামের নেতৃত্বাধীন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির স্টিয়ারিং কমিটির এ সদস্য ছাত্ররাজনীতি ছেড়ে যোগ দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিতে (সিপিবি)। ১৯৯১ সালে তিনি সিপিবির সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৯৪ সালে কয়েকজন রাজনৈতিক সহকর্মীকে নিয়ে যোগ দেন আওয়ামী লীগে।

আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি সিলেট-৬ আসনে জাতীয় পার্টির শরফ উদ্দিন খসরুর কাছে পরাজিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মকবুল হোসেন (লেচু মিয়া)-এর কাছে পরাজিত হন। এরপর ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বিএনপির অংশগ্রহণবিহীন সাধারণ নির্বাচনে সারাদেশের ১৫৩ জন সদস্যের মত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এবং শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে পুনর্বহাল হন। এর আগেও তিনি একই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।

12এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. আবুল মোমেন সহ সিলেটের আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই রাজধানীর হেয়ার রোডস্থ শিক্ষামন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে ভিড় জমাচ্ছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় দলের প্রেসিডিয়াম মেম্বার নুরুল ইসলাম নাহিদকে পৃথক পৃথক ভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. একে আব্দুল মোমেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আহমদ আল কবির, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস এমপি, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আ ন ম শফিকুল হক, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আলম খান মুক্তি, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খান, দক্ষিন সুরমা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু জাহিদ, দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার উপ-সম্পাদক দুলাল আহমদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এডভোকেট মোহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন, সিলেট জেলা স্বেচ্ছসেবক লীগ সভাপতি আফছার আজিজ, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন কয়েস, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জগলু চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমদ চৌধুরী, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাছিব মনিয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ছালেহ আহমদ বাবুল, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন, বিয়ানীবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দু শুকুর, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম নুনু মিয়া, জাবেদ সিরাজ, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি (স্থগিত কমিটি) শাহরিয়ার আলম সামাদ প্রমুখ।