নুরুল হক শিপু ::
নজরুল ইসলাম কামাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিববুর রহমানের আদর্শ ধারণ ও লালনকারী এক সৈনিক। তিনি ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহ্বায়ক। দায়িত্ব পালন করছেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ধারণ ও লালন করে, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, দেশরতœ শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে যুক্তরাজ্য থেকেও কাজ করছেন দল ও দেশের জন্য।
নজরুল ইসলাম কামাল জানান, তাঁর মা খুবই অসুস্থ। মায়ের সেবা করতেই তিনি এখন অবস্থান করছেন যুক্তরাজ্যে। তবে দলের জন্য সেখান থেকেও কাজ করছেন। নিজ এলাকা দক্ষিণ সুরমার সব নেতাকর্মীসহ সিলেট আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে রয়েছে তাঁর সার্বক্ষণিক যোগাযোগ। তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে আমার মা ও আওয়ামী লীগ যেন এক সুতোয় বাঁধা। মা এবং আওয়ামী লীগ দুটুকেই আমি সমানভাবে ভালোবাসি। তাই যতদিন বাঁচব দলের জন্যই কাজ করে যাব।’
আলাপকালে কামাল জানান, তাঁর রাজনৈতিক অভিভাবক ছিলেন বাঙালি জাতির ইতিহাসের সোনালি অর্জন, দেশপ্রেমিক, দেশের খ্যাতনামা কূটনীতিক, সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। যিনি ১৯৯৫ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেশরতœ শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। পরে তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত মহান জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। সেই নেতা নিজ সন্তানের মতো দেখতেন নজরুল ইসলাম কামালকে। স্পিকার খুব কাছে রাখতেন তাঁকে। বর্তমান আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজও কামালকে একজন পরিচ্ছন্ন নেতা
হিসেবে বিশ্বাস করেন। নজরুল ইসলাম কামাল খালেদা জিয়া সরকারের অপারেশন ক্লিনহার্টের সময় দলের জন্য জেলও খাটেন। ওই সময় তাঁর উপর চলানো হয় অকথ্য নির্যাতন, বেশ কয়েকটি মামলাও হয়। কিন্তু কোনো নির্যাতন আর মামলা তাঁকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে সরাতে পারেনি। আওয়ামী লীগের এ নেতা নিজের গর্ভধারিনী মা এবং দলের প্রতি মমতা-ভালোবাসা সমানভাবেই মূল্যায়ন করেন।