বি৭১নি ডেস্ক : বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেছেন- বেগম খালেদা জিয়াকে অন্ধকার কারাগারে রেখে নির্বাচনে অংশ নিতে জাতীয়তাবাদী শক্তির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তবুও দেশ-জাতির বৃহত্তর স্বার্থে আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। বিজয়ের মাসের ৩০ ডিসেম্বর ব্যালট যুদ্ধে চুড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত করতে গণতন্ত্রকামী দেশপ্রেমিক জনতাকে সাথে নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন- নির্বাচনে আমাদের বিজয় ছিনিয়ে নিতে অনেক ষড়যন্ত্র করা হবে। মনে রাখতে হবে আমরা দীর্ঘ ১০টি বছর ধরে বাকশালী সরকারের হামলা-মামলা, গ্রেফতার-নির্যাতন উপেক্ষা করে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় আপোষহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সরকারের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে প্রতিটি আসনে প্রার্থী বেগম খালেদা জিয়া এবং ধানের শীষকে মানুষের মুক্তির প্রতীক মনে করে ময়দানে ঝাপিঁয়ে পড়তে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় আমরা সিলেট জেলার ৬টি আসনে বিজয় ছিনিয়ে নিশ্চিতের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে বীরের বেশে ফিরিয়ে আনার পথকে সুগম করতে হবে।
তিনি সোমবার সিলেট জেলা বিএনপি আয়োজিত বিশেষ বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদের পরিচালনায় নগরীর ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই রোডস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা বিএনপির কার্যকরী সদস্য, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, জেলার সকল উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আব্দুল মালেকের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সুচীত সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা, সিলেট-১ আসনের বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সিলেট-৩ আসনের বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাবেক এমপি আলহাজ¦ শফি আহমদ চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক এডভোকেট নুরুল হক, জেলা সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাহির চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল গাফফার, জেলা সহ-সভাপতি এডভোকেট আশিক উদ্দিন আসুক, কামরুল হুদা জায়গীরদার, একেএম তারেক কালাম, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সভাপতি শাহাব উদ্দিন, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ খান জামাল, জেলা সাংগঠনিক ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, কানাইঘাট পৌর সভাপতি শরিফুল হক, জৈন্তাপুর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাফিজ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমদ নেহার, জকিগঞ্জ পৌর সভাপতি আব্দুস শাকুর প্রমুখ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আশিক উদ্দিন চৌধুরী, জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদার, জেলা উপদেষ্ঠা ফালাকুজ্জামান জগলু, শহীদ আহমদ চেয়ারম্যান, হাবিবুর রহমান হাবিব, মাজহারুল ইসলাম ডালিম, এডভোকেট কামাল হোসেন, মো: সিরাজুল ইসলাম, আব্দুল মুমিন পারভেজ, ইলিয়াস মিয়া মেম্বার ও আব্দুল কাইয়ুম মাষ্টার, জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, জেলা বিএনপির দফতর সম্পাদক এডভোকেট মো: ফখরুল হক, প্রকাশনা সম্পাদক এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, শ্রম সম্পাদক সুরমান আলী, যুব বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান, আইন সম্পাদক এডভোকেট মুজিবুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শাকিল মোর্শেদ, স্বাস্থ্য সম্পাদক আ.ফ.ম কামাল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা সালেহা কবির শেপি, গণশিক্ষা সম্পাদক সাঈদুর রহমান হিরু, তাতী সম্পাদক অহিদ আহমদ তালুকদার, মৎস্য সম্পাদক আলী আকবর, বিএনপি নেতা এডভোকেট আহমদ রেজা, জাকির হোসেন, দিদার ইবনে তাহের লস্কর, বুরহান উদ্দিন, ফখরুল ইসলাম, এডভোকেট ইসরাফিল আলী, আমিন উদ্দিন, দিলোয়ার হোসেন জয়, এনামুল হক মাক্কু, শাহ মাহমুদ আলী, আব্দুল মালেক, নজরুল ইসলাম, এডভোকেট খালেদ জুবায়ের প্রমুখ।
সভায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাগফেরাত কামনা করা হয়। একই সাথে সভায় নিখোঁজ জননেতা এম. ইলিয়াস আলী, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনেদ আহমদ ও গাড়ী চালক আনসার আলী সহ গুমকৃত সকল নেতাকর্মীদের সন্ধান কামনা করা হয়।
এছাড়া সভায় ষড়যন্ত্রমুলক মামলায় কারান্তরীণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সুফিয়ানুল করিম চৌধুরী চেয়ারম্যান ও ফখরুল ইসলাম ফারুক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বাচ্চু, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম, ওসমানীনগর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গয়াস মিয়া, জেলা ধর্ম সম্পাদক আল মামুন খান, গোলাপগঞ্জ ফুলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ চৌধুরী, বিশ্বনাথ অলংকরী ইউপি চেয়ারম্যান নজমুল হোসেন রুহেল, দেওকলস ইউপি চেয়ারম্যান তাহিদ মিয়া, জৈন্তাপুর দরবস্ত ইউপি চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, বিএনপি নেতা আকবর আলী, বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল সহ অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানানো হয়। নির্বাচনে লেবেল প্লেইং ফিল্ড তৈরীর স্বার্থে গ্রেফতার নির্যাতন বন্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোর দাবী জানানো হয়।