বি৭১নি ডেস্ক :ওবায়দুল কাদেরের মতো একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে ‘চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন’, ‘জঘন্য মিথ্যাচার’ অনাকাঙ্ক্ষিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সুচিন্তিতভাবে একটা ভয়াবহ রকমের, জঘন্য রকমের অপ্রপ্রচারে মেতে উঠেছে। এটা করতে গিয়ে তারা সরকারি অর্থ ব্যয় করে তারা সোশ্যাল মিডিয়া, দেশের প্রিন্টিং মিডিয়া বিভিন্ন মাধ্যম তারা ব্যবহার করেছে।’তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজকে দুটি জিনিস তুলে ধরতে চাই। প্রথমটি হচ্ছে যে জঘন্য মিথ্যাচার যেটা সরকারি দল ও মন্ত্রীরা শুরু করেছে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন। সবশেষে যেটা করেছে, সেটা খুব চমৎকার। সেটা হচ্ছে যে পাকিস্তানিদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক। আর তথাকথিত আইএসআইয়ের সঙ্গে লন্ডনে আমাদের অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান সাহেবের বৈঠক।’‘আওয়ামী লীগের একট প্রবণতা আছে যে সবসময়ই তারা বিএনপিকে এমন এমন কিছু সংস্থা বা দেশের সঙ্গে যুক্ত করতে চায় যা দিয়ে বিএনপিকে কিছুটা হীন অবস্থায় নিতে চায়, কিছুটা বিপদে ফেলতে চায়’ বলেও যোগ করেন মহাসচিব।তিনি বলেন, ‘আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, আগেও বলেছি যে কোনো সংস্থা বা আন্য কোনো দেশের সঙ্গে বিএনপির কোনো রকমের সম্পর্ক নেই। বিএনপি কখনোই আজ পর্যন্ত কোনো সহযোগিতার মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টাও করেনি।’গতকাল রোববার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, ‘একদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে আইএসআইয়ের সঙ্গে গোপন বৈঠক, অন্যদিকে পাকিস্তান হাইকমিশনে মির্জা ফখরুলের গোপন বৈঠক ষড়যন্ত্রের আভাস দেয়। দুই বৈঠক একই সূত্রে গাঁথা।’ পরে আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও পাকিস্তানের দূতাবাসে গোপন বৈঠকে এই ষড়যন্ত্র করছেন।’আওয়ামী লীগ নেতাদের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আব্দুর রহমান তাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক। আব্দুর রহমান সাহেবের ব্যাপারটা ধরে নিলাম যে উনি ততটা গুরুত্বপূর্ণ নন দেখে যেকোনো রকমের মন্তব্য করতেই পারেন, বলতেই পারেন। আর এটা তো তাদের স্বভাবগত ব্যাপার আছেই।’‘ওবায়দুল কাদের সাহেবের মতো একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রী এবং তিনি আওয়ামী লীগের মতো দলের সাধারণ সম্পাদক। তার মুখ দিয়ে তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে যখন এই ধরনের “চরম দায়িত্বজ্ঞানহীন”, “জঘন্য মিথ্যাচার” হয়, সেটা অপ্রত্যাশিত নয়, অনাকাঙ্ক্ষিত নয়’ বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।