বি৭১নি ডেস্ক :বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের আলোচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদেশের পর হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখন খুব খুশি। হাই কোর্টে যে ন্যায় বিচার পাওয়া যায়, তা প্রমাণ হল। ইসি যে বলছিল আমার ভোটার তালিকা ভুয়া, তা আজ মিথ্যা প্রমাণ হয়েছে। ইসিকে হাই কোর্ট দেখিয়ে দিলাম।’
হেভিওয়েট প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘মার্কা দেখে ভোট দেওয়ার দিন শেষ। মার্কা বা দল কোনো ফ্যাক্টর নয়। ব্যক্তিই ফ্যাক্টর। নির্বাচনী মাঠে ব্যক্তি হিসেবে আমিই জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ও শক্তিশালী প্রার্থী। ভোটারেরা সঙ্গে থাকলে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী।’
হিরো আলমের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন মো. কাউছার আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
হিরো আলমের আইনজীবী কাউছার আলী জানান, ‘হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তার বৈধ মনোনয়নপত্র গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। তার মানে হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বৈধ। তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।’
বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত বগুড়ার এই আসনে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী মোশারফ হোসেন এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত-জাসদের প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ একেএম রেজাউল করিম তানসেন।
উল্লেখ্য, ২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের প্রথম দিনেই হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়নপত্রে ভোটারের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনে আপিলেও তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল।
এইচ এম এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পাটির ‘লাঙল’ মার্কার মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হিরো আলম। এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গত ২৮ নভেম্বর নন্দীগ্রাম উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মোছা. শারমিন আখতারের কাছে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।