বি৭১নি ডেস্ক : মনোনয়ন জমা দিতে এসেছেন আওয়ামীলীগের নেছার আহমদ আর বিএনপির নাসের রহমান। দুজনই দুই দলের জেলা সভাপতি ও দলীয় মনোনিত প্রার্থী। নেছার আহমদ যখন মনোনয়ন জমা দিলেন তখন পাশের কক্ষে অপেক্ষা করছিলেন নাসের রহমান। মনোনয়ন জমা দিয়ে ওই কক্ষে গিয়ে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী নাসের রহমানকে বুকে জড়িয়ে ধরলের নেছার আহমদ। একে অপরের সাথে কুশল বিনিময় করলেন। এ যেন রাজনীতির সম্প্রীতির বন্ধন।
বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তোফায়েল ইসলামের কাছে মনোনয়ন জমা দেন আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী নেছার আহমদ। বিএনপির মনোনিত প্রার্থী নাসের রহমান ও তার স্ত্রী রেহেনা নাসের।
নাসের রহমান সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের পুত্র। বর্তমানে জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্বে আছেন। তিনি এর আগে মৌলভীবাজার ৩ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। মনোনয়ন জমা দিয়ে তিনি বলেন, আমি শতভাগ আশা রাখি বিজয়ী হবো। তবে নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে সংশয়ে আছি। নির্বাচনের পরিবেশকে সুন্দর রাখতে সকলের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে দায়িত্বশীল ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
নেছার আহমদ একজন সৎ রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি বর্তমানে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। যদিও ভোটের মাঠে নতুন। মনোনয়ন জমা দিয়ে তিনি বলেন, \” মৌলভীবাজার ৩ আসনকে তিনি শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চান। জয়ের ব্যাপারে তিনিও আশাবাদি\”।
মৌলভীবাজার জেলার শীর্ষ দুই নেতার কোলাকুলির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অনেকেই মৌলভীবাজারের এই সম্প্রিতির রাজনীতির বন্ধন আজীবন ধরে রাখার জন্য ব্যক্ত করেছেন। দল মত, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে মৌলভীবাজারের মানুষের মধ্যকার পারস্পারিক সর্ম্পক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে। যতই মতপার্থক্য বা হানাহানি হোক সামনা-সামনি একে অপরকে সম্মান করেন, শ্রদ্ধা করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এর একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী নাসের রহমান ও নেছার আহমদ কেউ কাউকে সামনা-সামনি বিষোদগার করতে দেখা যায়নি। বরং একে অপরকে দেখলে জড়িয়ে ধরেছেন। হাসি মুখে কথা বলেছেন।