সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের বখতিয়ারঘাট এলাকায় টানা বর্ষণের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ একটি টিলা ধসে একই পরিবারের চার সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন রিয়াজ উদ্দিন (৫০), রহিমা বেগম (৩৪), আব্বাস আলী (১৩) ও সামিয়া খাতুন (১৫)। রোববার (১ জুন) ভোররাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সাংবাদিকরা আগেই ঝুঁকিপূর্ণ টিলার বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন এবং লক্ষণাবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান খলকুর রহমান প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে এলাকাবাসী মনে করছে।
টানা বর্ষণে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণে জলাবদ্ধতা এবং রাখালগঞ্জে গাছ উপরে পড়ে রাস্তা বন্ধ থাকায় প্রায় তিনঘন্টা চেষ্টা করে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহগুলো উদ্ধার করে।
ঘটনার পর পর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলকুর রহমান ফেসবুক লাইভে জানিয়েছেন, তিনি গত দুই দিন ধরে অনলাইনে ইউনিয়নবাসীকে বারবার সতর্ক করে আসছিলেন।
তবে এলাকাবাসী জানান, গত তিনদিন থেকে উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনলাইন সতর্কতা সাধারণ মানুষ জানতে পারেনি।
স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘শুধুমাত্র অনলাইনে সতর্কবার্তা দিয়ে কতটা কার্যকর সতর্কতা সম্ভব?’ তারা দাবি করছেন, বিদ্যুৎহীন এলাকায় বাড়ি বাড়ি মাইকিং এবং সরাসরি সতর্কবার্তা প্রদানসহ প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এমন প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন।
অপরদিকে, প্রবল বজ্রপাতে ফুলবাড়ী ইউনিয়নের হেতিমগঞ্জ, ঢাকা দক্ষিণ বাইপাসসহ কয়েকটি স্থানে গ্যাসের রাইজার ফেটে ছোটখাটো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রশাসনের সজাগতা ও তথ্যপ্রবাহের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এখন সময়ের দাবি।