বি৭১নি ডেস্ক : বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট বোমা হামলায় আওয়ামী লীগই দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রোববার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, সব কিছু বিচার বিশ্লেষণে এটা মনে করার যথেষ্ট কারণ সৃষ্টি হয় যে, ২১ আগস্ট বোমা হামলায় আওয়ামী লীগ বা তাদের শুভাকাঙ্খীরাই দায়ী। যেহেতু তখন সরকার পরিচালনা করেছে বিএনপি সেহেতু নিজের সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হবে, এমন আত্মবিধ্বংসী কাজ বিএনপি কেন করতে যাবে?
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সভায় ভয়াবহ বোমা হামলা হলে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক সহানুভূতি সৃষ্টি হবে এবং বিএনপির বিরুদ্ধে মানুষের আস্থা কমবে। এতে আওয়ামী লীগের লাভ। ঠিক এই উদ্দেশ্য নিয়েই আওয়ামী লীগের সভায় বোমা হামলা করা হয়েছে, শেখ হাসিনার মঞ্চকে পাশ কাটিয়ে।
রিজভী বলেন, এই বোমা হামলার আরেকটি উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে জঙ্গি সরকার বা তার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে প্রমাণ করা- সেজন্য পরবর্তিতে শেখ হাসিনা ও তার সহকর্মীরা হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সম্মিলিত কন্ঠস্বরে দেশে-বিদেশে বিএনপি ও জোট সরকারের বিরুদ্ধে অপবাদের কোরাশ গেয়েছেন। অথচ জঙ্গি উৎপাদন করেছে আওয়ামী লীগ, আর তাদেরকে দমন করেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে বিডিআর সদর দপ্তরের পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড আওয়ামী সরকারের আমলেই ঘটেছে। এর জন্য কেন আওয়ামী সরকার দায়ী নয়? দরবার হলের এধরনের অনুষ্ঠানে সবসময় প্রধান অতিথি থাকেন প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কেন সেদিন যাননি?
বিএনপি এই নেতা বলেন, একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে যে তদন্ত হয়েছিল সেটা স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হলেও কেন তা প্রকাশ করা হয়নি? সে আলোকে কোনো ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি কেন? এগুলোর জবাব তো একদিন বর্তমান অবৈধ শাসকগোষ্ঠীকে দিতে হবে।
তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সারাদিন অপপ্রচারে ব্যস্ত থাকলেও সত্যকে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে পারবে না। তাই নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ায় ওবায়দুল কাদের অনবরত মিথ্যা ভাষণ দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গেম প্ল্যান খুব স্পষ্ট। আইন, আদালত, বিচার তাদের হাতে মুঠোয় থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় একের পর এক সাজা দিয়ে ফাঁকা ময়দানে ইলেকশনের নামে সিলেকশন করে ক্ষমতা ধরে রাখা।
ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সহ সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ, দপ্তর সহ সম্পাদক বেলাল আহমেদ প্রমুখ।
বি৭১নি/জেএ/বিনিডে