১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছিল আওয়ামীলীগ সরকার। দীর্ঘ ১৫ বছর টানা এদিনটি সরকারী ছুটি থাকলেও এবার সেই ছুটি বাতিল করে দিয়েছে নতুন গঠিত হওয়া অন্তবর্তীকালীন সরকার।
১৫ আগস্টকে কেন্দ্র করে গেলো কয়েকটি বছর সারা দেশের ন্যায় সিলেটজুড়ে চলত আওয়ামীলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের শোকসভার মাইক, শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়া, কালো ব্যাজ ধারণ করে সারাদিন সভা-সমাবেশ। কিন্তু এবার কোথাও নেই সেই মাইকের আওয়াজ, প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক, এমনকি কালো ব্যাজ ধারণ করা একজন লোককেও দেখা যাচ্ছে না। নগরীসহ উপজেলা সদরগুলো শিক্ষার্থী, আমজনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দখলে রয়েছে। শুধুমাত্র নেই গত ১০ দিন পূর্বেও যারা হুংকার দিয়েছিল নেই আওয়ামীলীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠন।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারত চলে যান এবং দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাকর্মী আত্মগোপনে রয়েছেন।
এরই মধ্যে ভারত থেকে শেখ হাসিনা ১৫ আগস্ট শোক পালন করতে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীদের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানান। সজীব ওয়াজেদ জয় তার মায়ের পক্ষে ফেসবুকে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
জয়ের এমন ঘোষণার পর রাত থেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগ সরকার এই দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করতো। এ দিন সরকারি ছুটির দিন ছিল। সম্প্রতি অন্তবর্তীকালীন সরকার ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করে।