বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, সরকারের ভয়ে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসায় সহযোগিতা না দিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতাল অমানবিক আচরণ করেছে।
রিজভী বলেন, এ দেশের সাধারণ মানুষ যদি এখন এই হাসপাতালের ইট খুলে নিয়ে যায়, তাহলে তাদের করার কিছু থাকবে না। রুহুল কবির রিজভী এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
সোমবার (২৪ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা করে স্বেচ্ছাসেবক দলের দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে অ্যাম্বুলেন্স ও ইঞ্জেকশনের জন্য সহযোগিতা চাওয়া হলে হাসপাতালের পক্ষ থেকে তা দিতে রাজি হয়নি বলে বিএনপি অভিযোগ করেছে।
সোমবার মহিলা দলের দোয়া মাহফিলে রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগারে নিয়ে খাবারের মধ্যে নানা রকমের ওষুধ দিয়ে অসুস্থ করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো- তাকে তিলে তিলে শেষ করা।
রিজভী বলেন, যে নেত্রীকে দেখলাম পায়ে হেঁটে কারাগারে ঢুকলেন, সেই নেত্রী বের হলেন হুইলচেয়ারে। আজকে তিনি একের পর এক রোগাক্রান্ত, একের পর এক অসুস্থতায় ভুগছেন। এটার অন্য কোনো কারণ নেই। এটার নতুন করে অন্য কোনো ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে শেষ করার জন্য কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে খাবারের মধ্যে নানা ধরনের ওষুধ দিয়ে নানা অসুস্থতায় ভোগানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে উন্নত চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনার (প্রধানমন্ত্রী) আমলে ক্যাসিনো, সিন্ডিকেটবাজ ও দুর্নীতিবাজদের উন্নয়ন হয়েছে জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ নাকি শেখ হাসিনাকে আপা বলতেন। আপার জন্য গুমের পর গুম চালিয়ে গেছেন। তবে এত অপকর্মের পরও বেনজীরদের কিছু হবে না।
সম্প্রতি পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ, এটি সংবাদপত্রের প্রতি হুমকি। প্রশাসন ক্যাডার এখন এমন লাভজনক হয়েছে যে ডাক্তার এবং ইঞ্জিনিয়াররাও এই প্রফেশনে চলে আসতে চান।