জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলতাফুর রহমানের স্ত্রীর অভিযোগের পর হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হন তিন আসামি।
মৌলভীবাজার-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলতাফুর রহমানের সাথে পূর্ব পরিচয় ছিল রাজন মিয়া অরফে রাজুর। সেই জন্য তিনি তার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও নির্বাচনী কার্যালয়ে দেখা করতে যান রাজন। সেখানেই বাগবিতণ্ডা। সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্বে চেয়ারে বসার সম্মান না দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হয় চেয়ার ভাঙচুর। এরপর রাজুর নেতৃত্বে একটি গ্রুপ হামলা চালায় সেখানে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার-৩ আসনে জাতীয় পার্টির প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রাতে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি কে এম নজরুল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আটকরা হলেন, কাজিরগাঁও এলাকার রাজন মিয়া ওরফে রাজু (৩৫), আলীম মিয়া (৩৩), সাহেল মিয়া (২৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি কে এম নজরুল বলেন, তারা তিনজন মৌলভীবাজার শহরের বড়হাটে অবস্থিত জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে প্রবেশ করে অন্যায়ভাবে প্রভাব বিস্তর করে থাকে। নির্বাচনী কার্যালয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীরা তাদের গালাগাল করতে নিষেধ করলে তারা আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়। পরে তারা প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর শুরু করে এবং একাধিক ব্যক্তিকে আঘাত করে আহত করে।
ওসি জানান, এই ঘটনায় বাদীর অভিযোগ পেয়ে আসামিদের গ্রেপ্তারে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ২টি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করিয়া উল্লেখিত আসামিদের গ্রেপ্তার করিতে সক্ষম হয়। তদন্তে ও আসামিদের পিসিপিআর যাচাইকালে জানা যায়, তারা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত। গ্রেপ্তার আসামি রাজন মিয়া ওরফে রাজু পূর্বে আলতাফুর রহমানের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা অবস্থায় তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অবনতি হওয়ায় গত ২১ ডিসেম্বর রাতে জাতীয় পার্টির নির্বাচনী কার্যালয়ে প্রবেশ করলে গ্রেপ্তার আসামি আলীম মিয়ার সাথে বেলায়েত আলী জুয়েলের চেয়ারে বসা ও সিনিয়র-জুনিয়র, সম্মান দেওয়া না দেওয়ার বিষয়কে কেন্দ্র করে বর্ণিত ঘটনার সৃষ্টি হয়। গ্রেপ্তার আসামিরা কোনো রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর পক্ষ হয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে হামলা করেছে মর্মে কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। বর্ণিত ঘটনার বিষয়টি ব্যক্তিগত আক্রোশের বহির্প্রকাশ, কোনো প্রকার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নাই।