সিলেটের বিশ্বনাথে সরকারি কাজে বাধাঁ দিয়ে উপজেলার বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) সামিম আহমদের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এঘটনায় গুরুত্বর আহত মেম্বার সামিমের ভাই শাহেদ আহমদ বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৩ (তাং ১০.১১.২৩ইং)।
মামলা দায়েরের পর বিশ্বনাথ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান অভিযুক্ত সেবুল মিয়াকে শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে পূর্ব শ্বাসরাম গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সেবুল উপজেলা সদর ইউনিয়নের পূর্ব শ্বাসরাম গ্রামের চমক আলীর পুত্র।
মামলার অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন- পূর্ব শ্বাসরাম গ্রামের মৃত রিফাত উল্লাহর পুত্র চমক আলী ও চমক আলীর পুত্র টুনু মিয়া।
থানায় দাখিলকৃত মামলার বাদী লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে সরকারি বরাদ্ধকৃত টাকায় শুরু হওয়া পূর্ব শ্বাসরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তা পাকাকরণ কাজে বাঁধা প্রদান করেন করে দা, রামদা ও কাঠের রুল হাতে নিয়ে আসা বিবাদীরা। কাজের ঠিকার তখন মেম্বার সামিমকে মোবাইল ফোনে কল করে বিষয়টি জানিয়ে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। মেম্বার সামিম ঘটনাস্থলে আসার পর বিবাদীদের সাথে তার (মেম্বার) তর্কাতর্কি শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত বিবাদীরা মেম্বার সামিম ও কাজের ঠিকাদার কামরুল ইসলামের উপর হামলা করে। হামলায় গুরুত্বর আহত হন উপজেলার বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) সামিম আহমদ ও ঠিকাদার কামরুল ইসলাম। এসময় মামলার প্রধান অভিযুক্ত সদর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সামিম আহমদের প্যান্টের পকেটে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তাদের হাক-চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর মামলার বাদী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কতেক স্বাক্ষীদের সহায়তায় আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান।
এঘটনায় মামলা দায়ের ও সেবুল মিয়াকে গ্রেপ্তারের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, মামলার প্রধান অভিযুক্ত সেবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আর অন্যান্য অভিযুক্তদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।