প্রকৃতির অকৃত্রিম ভালোবাসা রয়েছে আমাদের উপর। তাই তো আমাদের হাতের কাছেই সাজানো রয়েছে এমন কিছু উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান, যা কিনা শরীরকে সুস্থ-সবল রাখার কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনই এক অত্যন্ত উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান হলো লেটুস পাতা।
পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কথায়, এই পাতায় রয়েছে শরীরের প্রয়োজনীয় একাধিক ভিটামিন ও খনিজ। এমনকি লেটুসে আছে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত এই পাতা খেলে যে একাধিক রোগের ফাঁদ এড়িয়ে চলা সম্ভব হবে, তা তো বলাই বাহুল্য!
তাই সুতরাং সুস্থ-সবল জীবনযাপন করার ইচ্ছা থাকলে লেটুসের একাধিক চমকে দেওয়া গুণাগুণ সম্পর্কে জেনে নিন।
চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে
কম্পিউটার, মোবাইলের মতো গ্যাজেটের স্ক্রিনের দিকে সারাদিন তাকিয়ে কম বয়সেই চোখের বারোটা বেজে যাচ্ছে। তাই দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর ইচ্ছা থাকলে এসব গ্যাজেট ব্যবহারের সময় কমানোর পাশাপাশি লেটুস পাতার বিভিন্ন পদ পাতে রাখার চেষ্টা করুন।
কারণ এই শাকে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ, যা কিনা চোখের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। এমনকি নিয়মিত এই পাতা খেলে চোখে ছানি পড়ার আশঙ্কাও কমবে। তাই প্রতিদিনকার পাতে লেটুস পাতাকে জায়গা করে দিতে ভুলবেন না যেন!
হাড় হবে শক্তিশালী
আজকাল কম বয়সেই অনেকে হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যার খপ্পরে পড়ছেন। একবার এই সমস্যার ফাঁদে পড়লে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেও বেগ পেতে হয়। তাই বিপদ ঘটার আগেই হাড়ের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে হবে।
এই কাজে আপনার সঙ্গী হতে পারে লেটুস পাতা। কারণ এই পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, যা কিনা অস্থির জোর বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই সারাজীবন হেঁটে-চলে বেড়ানোর ইচ্ছা থাকলে যত দ্রুত সম্ভব লেটুস পাতাকে ডায়েটে জায়গা করে দিন।
পানির অভাব মিটবে
আমাদের মধ্যে অনেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করেন না। এই কারণেই তারা ডিহাইড্রেশনের মতো জটিল অসুখের ফাঁদে পড়েন। তবে ভালো খবর হলো, কম পরিমাণে পানিপান করা এই ব্যক্তিদের কাছে আশীর্বাদ স্বরূপ হলো লেটুস পাতা।
কারণ এই শাকের প্রায় ৯৫ শতাংশই পানি। তাই প্রতিদিন এই পাতার পদ চেখে দেখলে যে দেহে পানির ঘাটতি মিটে যাবে, তা তো বলাই বাহুল্য! সুতরাং নিয়মিত ডিহাইড্রেশনের কবলে পড়তে না হলে যত দ্রুত সম্ভব এই পাতার সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিন।
ঘুম হবে শান্তির
অনেকেরই রাতে দুই চোখের পাতা এক হতে চায় না। আপনিও কি সেই দলেরই সদস্য? উত্তর হ্যাঁ হলে যত দ্রুত সম্ভব লেটুসের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন। কারণ এই পাতায় রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা অনিদ্রার সমস্যা কাটাতে সাহায্য করবে। তাই ইনসোমনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর ডায়েটে লেটুসের পদ থাকাটা আবশ্যক।
পেটের সমস্যা নিপাত যাবে
নিয়মিত গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যায় ভুগতে না চাইলে আজ থেকেই লেটুস খাওয়া শুরু করে দিন। কারণ এই পাতায় রয়েছে অত্যন্ত উপকারী ফাইবারের ভাণ্ডার, যা কিনা পেটের ছুটকো সমস্যা থেকে আপনাকে চিরতরে মুক্তি দিতে পারে।
এমনকী কোষ্ঠ পরিষ্কার করার কাজেও লেটুস পাতার জুড়ি মেলা ভার। তাই যত দ্রুত সম্ভব এই পাতাকে ডায়েটে জায়গা করে দিতেই হবে। তাতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্ত হবে।