সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের পর এবার উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এস এম নুনু মিয়ার উপর সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও শ্রমিক নেতা ময়না মিয়া বাদী হয়ে নুনু মিয়াকে একমাত্র অভিযুক্ত করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ১৭১/২৩।
মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মিছবাহুর রহমান আলম।
মামলা তদন্তের জন্য ‘পিবিআই’কে নির্দেশ দিয়েছেন সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক মনির কামাল।
এজাহারে মামলার বাদী উল্লেখ করেছেন- বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানকে নিয়ে সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘ফেসবুক ও নিজস্ব ইউটিউবে’ জঘন্য মিথ্যা, কুরুচীপূর্ণ, আক্রমনাত্মক ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের মানহানি করিয়াছেন এবং মুহিবুর রহমানকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন। এমন বক্তব্যে পৌর এলাকার সাধারণ মানুষ ও তাহার সমর্থকদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এতে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার উপক্রম হয়েছে। তিনি অপরাধ আমলে নিয়া অভিযুক্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ইস্যুক্রমে আদালতে সুবিচার কামনা করেন।
বিশ্বনাথে আমার মাধ্যমে অভূতপূর্ণ উন্নয়ন দেখে একটি পক্ষ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে দাবী করে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে আইনী লড়াইয়ের মাধ্যমে মামলার জবাব দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর পূর্বে গত ২২ আগস্ট সরকারি বরাদ্দের নামে ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া ও তার পিএস দবির মিয়া’সহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন জামাল আহমদ নামের এক ভুক্তভোগী। এরপর ৩০ আগস্ট পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের উপর সিলেটের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক নুরুল হক।
বিশ্বনাথের দুই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি মামলা ও বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযাগ মাধ্যমে নেটিজনদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এছাড়া তাদের দ্বন্দ্ব এখন সংঘাতের দিকে এগুচ্ছে বলে আশংকা করছেন সচেতনমহল।