গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা এলাকায় মাদ্রাসা পরিচালকের স্ত্রী ও এক ছাত্রকে গলাকেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার ভোরে ওই এলাকার হুফফাজুল কুরআন মাদ্রাসার ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মাদ্রাসা পরিচালক ইব্রাহিম খলিলের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার স্মৃতি (২৫) এবং তার বোনের ছেলে ও মাদ্রাসার নূরানি বিভাগের ছাত্র মোহাম্মদ মামুন (৯)। মামুনের বাবার নাম মোহাম্মদ শহীদ, বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালে।
বাসন থানার ওসি মুক্তার হোসেন জানান, ভোরে স্থানীয়দের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদ্রাসার পরিচালক ইব্রাহিম খলিলের থাকার ঘরে লাশ দুটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। মাহমুদার গলা, গাল ও কানে এবং মামুনের ঘাড়, মাথা ও পিঠে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ঘরের ভেতর থেকে রক্তমাখা একটি দা ও দা ধার দেয়ার কাজে ব্যবহৃত একটি কাঠের খণ্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রায় দুই বছর ধরে ইব্রাহিম ওই মাদ্রাসা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছেন। মাদ্রাসার একটি কক্ষে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বাস করেন তিনি।
পরে জয়দেবপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ সময় ইব্রাহিম খলিল জানান, ভোরে স্ত্রী মাহমুদা এবং তার দুই সন্তান হুযায়ফা (৫) ও আবু হুরায়রাকে (৩) ঘরে রেখে পাশের মসজিদে ফযরের নামায পড়তে যান তিনি। নামায শেষে ফিরে বিছানার ওপর স্ত্রী মাহমুদা এবং দরজার কাছে মামুনের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
এ বিষয়ে তিনি আর কিছুই জানেন না বলে দাবি করেন।
সাব্বির নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের বরাত দিয়ে বাসন থানার এসআই আল আমিন জানান, ভোরে ফযরের নামাযে যাওয়ার আগে সাব্বিরকে দিয়ে হুজুর নিহত মামুনকে মাদ্রাসার অন্য কক্ষ থেকে নিজের কক্ষে ডেকে পাঠায়।
খরব পেয়ে খবর পেয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান, গাজীপুর সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুলতান মাহমুদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।