• ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৫ই রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি

সদকায়ে জারিয়া অনেক হয়েছে এবার…

bijoy71news
প্রকাশিত মে ৩, ২০২০

জাকিরুল আলম জাকির ::
আমি যেভাবে “চক্ষু” নামের ছোট একটি ছিদ্র দিয়ে চাঁদ সূর্যের মত বিশাল নক্ষত্রকে দেখতে পাই ,ঠিক সেভাবে শিষ্টাচার বহির্ভূত রাজনীতির চর্চার গভীরটা আমার কাছে অদৃশ্য নয়।কাউকে বুঝার জন্য আমার দীর্ঘদিন সমীক্ষা চালানোর প্রয়োজন পড়েনা, দুটি চোখের দিকে তাকালেই ওই চোখগুলো আমাকে বলে দিত, আমার নিজস্ব অর্থায়নে সৃষ্টিগুলোর ভেতরে কি কাজ করছে।দীর্ঘপথ পরিক্রমায় জটিল এবং কঠিন সময় পার করতে গিয়ে জীবনের ছোট-বড় শিক্ষা আমাকে যোগ বিয়োগের অংক গুলো বুঝতে সহযোগিতা করেছে।বর্তমান ডিজিটাল যুগে ইন্টারনেটের বদৌলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সংগ্রামী পোস্ট ব্যক্তিত্বহীন স্ট্যাটাস আর চমকপ্রদ কমেন্টে এমনকি নিজের সাথে খাপ না খাওয়া এমন সব রাজনৈতিক শব্দ সংকলন এর মাধ্যমে তার নিজস্বতার বহিঃপ্রকাশ দিচ্ছে, টার্গেট দিকভ্রষ্ট হয়ে নিজস্ব গন্তব্যের ট্রেনে যাত্রার বদলে, ভিন্ন যাত্রীর গন্তব্যের পথ সুগম করে ভাবটা পাইলটের মতো হলেও,হেলপার হয়েই যাত্রা সমাপ্ত হবে। পাইলট সবসময় আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে সিট বরাদ্দ দিবে,তবে নগদে নারায়ন হলে সেটা ভিন্ন বিষয়,এই সমীক্ষণে যদি রাজনৈতিক ক্যালকুলেট হয়, তাহলে গানের কলি এমনটা হতে পারে ‘মনে আছে গিয়েছিলে একেবারে ভুলে’ গাণিতিক সূত্র স্পষ্ট বলছে ‘সার্ভিস’ দিয়ে পুরনো হিসাব শেষ করো পরেরটা পরে বুঝা যাবে???

পরীক্ষা পাশের জন্য বহুবার” রচনা “লিখা হয়েছে,তবে আজকের “রচনাটি” পরীক্ষা পাশের জন্য নয় বরং নিজের জীবনকে মিলিয়ে দেখার জন্য, মানুষ হিসেবে আমি বা আমরা কর্মীবান্ধব কিংবা কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় মানসিকভাবে কোন পর্যায়ে আছি,আমাদের বীজগণিত এবং পাটিগণিতের সাথে কেমন যোগসুত্র সেটা মিলিয়ে দেখতে একটু চেষ্টা মাত্র।আমাদের কথার ফুলঝুরি বড় রাজনীতিকের মতো হলেও(নিজের বলা কথার সাথে নিজের যোগ্যতার মাপকাঠির মিলন প্রয়োজন), কথাগুলোর মধ্যে এমন কিছু মৌলিক উপাদান আছে(হানিফ সংকেত বলেছিলেন-কে বলে কথায় চিড়ে ভিজে না),একটু ইচ্ছা শক্তির দ্বারা ‘কথা’ নামক পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ করলেই টার্গেটের কাছাকাছি চলে যেতে পারে,আবার নিয়ন্ত্রণ হীন কথা দুর্ঘটনায় কবলিত হতে পারে(বলতে বলতে বক্তা হতে চাও ভালো কথা তবে শ্রোতা কিন্তু?ডোন্ট মাইন্ড? নিজেকেও ভাবতে হবে এখনো পাঠশালার ছাত্র!!ডিগ্রী বহুদূর?)

বিশ্লেষণ:জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলতে বলতে বিজ্ঞ রাজনীতিকরা নিজেকে আর পরিবারকে সময় দেয়ার সময় করে উঠতে পারেন নি, স্বাস্থ্য সচেতনতা “দিল্লি কত দূর”এটা বললে ভুল হবে না। শেষমেষ আমাদের কত শ্রদ্ধেয় বিজ্ঞ রাজনীতিবিদ দুরারোগ্য ব্যাধির সম্মুখীন হন,সেই খবর কজনই বা রাখে? সুতরাং আমার সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা শিল্পপতির প্রতি নয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি কারণ আসলেই নেতারা জাতির স্বার্থে কাজ করেন !ইতিহাস সেটাই প্রমাণ করে। তবু আমরা সেই পথ ধরেই হাঁটছি অবিরত। দুইটি যোগ অতিক্রম করে আজও নিজেকে কর্মী ভাবতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি(অবশ্য অনেক চুনোপুটি গবেষণা করে,কে আমায় কি ভাবে), অস্তিত্বে বঙ্গবন্ধু আর দেশরত্নের নির্দেশ শিরোধার্য মেনেই, শতভাগ বিশ্বস্ততার সাথে আমার অভিভাবক জননেতা আসাদ উদ্দিন আহমদ ভাইয়ের নির্দেশনা মেনে চলি (অবশ্য আমি ঘাটে ঘাটে জল খেতে পারি না-কিংবা ভ্রমর তুমি কার যে ফুলে যাই তার-এই কবিতা পছন্দ নয়-কারণ যে অনেকের হয়নি সে তোমার হবে এটাতো শুধুই নির্বুদ্ধিতা) অবশ্য ভালো লাগে ছোট বড় এবং মাঝারি সাইজের অনেককেই যখন সংগ্রাম না করেও সংগ্রামী শব্দ সংযোজন করতে দেখি, মন্ত্রণালয় না থাকলেও কানমন্ত্রীর পদমর্যাদায় নিজেকে আসীন করে, ওয়ান ম্যান আর্মিরা নেতাকে কান মন্ত্র কবিতা শোনাতে ব্যস্ত, উস্তাদের..শেষ রাতে?মনে করতে কোন সমস্যা নাই নিজের লাইন ঘাট শক্ত মজবুত, আমরা খুশি অভিজ্ঞতা না থাকলেও অনভিজ্ঞতার বেড়াজালে পড়ে মেধা জ্ঞান এবং কৌশল ভিত্তিক রাজনীতিতে বিজ্ঞতা দেখাতে সচেষ্ট,আমার ছোট্ট আকাশে বিশাল বড় বড় কথাগুলো রাখার জায়গা নেই, সদকায়ে জারিয়া অনেক হয়েছে এবার..??
**করোনা পরিস্থিতি বৃদ্ধি পাচ্ছে তার উপর চিকিৎসা ব্যয়বহুল, আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।।
ফ্যাক্ট: হোম কোয়ারেন্টাইন আংগুল সচল!!

(লেখাটি লেখকের ফেসবুক টাইমলাইন থেকে নেয়া)