নিজস্ব প্রতিবেদক :: প্রজ্ঞাপন জারি হলে বুধবার থেকেই পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জির বিচার শুরু হতে পারে। তিনি সেখানে বর্তমানে সাজাভোগ করছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল মঙ্গলবার বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে কারাকর্তৃপক্ষ তাকে এ মামলায় আদালতে হাজির করতে পারছেন না। কোনভাবেই মামলাটির এগিয়ে নেয়া যাচ্ছে না। এ কারণে মামলাটির বিচারকার্য পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী এজলাসে করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম।
তিনি বলেন, এই বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় মামলাটির বিচার কারাগারে করার বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে শুনেছি। যদি মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই এ সম্পর্কিয় গেজেট প্রকাশিত হয় তবে আগামীকাল বুধবার কেন্দ্রীয় কারাগারে মামলাটির বিচার করা সম্ভব হবে।
এর আগে গত ৭ আগস্ট মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। তবে খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে উপস্থিত করেনি কারা কর্তৃপক্ষ। ওই দিনও খালেদার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।
গত ধার্য তারিখে বিচারিক আদালতের বিচারক না থাকায় ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খালেদার জামিন বাড়ান। একইসঙ্গে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্যও নতুন এ দিন ঠিক করেছিলেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অন্য তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুদক। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন আদালত।