বি৭১নি ডেস্ক :
এবারের বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে পাত্তা পায়নি শ্রীলঙ্কা। কিউই পেসারদের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করে ৯৬ সালের এই চ্যাম্পিয়নরা। টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৩৬ রানের মাথায় গুটিয়ে যায় দলটি। জবাবে খেলতে নেমে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ে নিউজিল্যান্ড।
কার্ডিফে ২০৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিউইরা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১০ উইকেট ও বেশি বল হাতে রেখে জয়ের মধ্যে এটা তৃতীয়তম বড় জয়। প্রথম বড় জয়টিও অবশ্য নিউজিল্যান্ডের দখলে। ২০১১ বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ২৫২ বল হাতে রেখে কোনো উইকেট না হারিয়েই জিতে যান কিউইরা।
লঙ্কানদের দেওয়া ১৩৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন দুই ওপেনার। গাপটিল ৭৩ ও মুনরো ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। মালিঙ্গা পাঁচ ওভার বল করে ৪৬ রান দিয়েছেন। এই অভিজ্ঞ বোলার দেখা পাননি কোনো উইকেটের।
কার্ডিফে এই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ফিল্ডিংয় নেওয়ার সিদ্ধান্তকে দ্রুত উইকেট তুলে স্বাগত জানান কিউই বোলাররা। হ্যানরি-ফার্গুসনদের বোলিং তোপে ৬০ রান না পেরোতেই লঙ্কানরা হারিয়ে ফেলে ছয় উইকেট।
সতীর্থরা আসা-যাওয়ার মিছিলে থাকলেও একপ্রান্তে দাঁত কামড়ে পড়ে ছিলেন দিমুথ করূণারত্নে। ৫২ রানে অপরাজতি থেকে এই ওপেনার মাঠ ছাড়েন। কুশল পেরেরা ও থিসারা পেরেরা করেন যথাক্রমে ২৯ ও ২৭ রান। এছাড়া কোনো লঙ্কান ব্যাটসম্যান দেখেননি দুই অঙ্কের মুখ।
ম্যাট হ্যানরি ও ফার্গুসন তিন উইকেট করে নিয়ে ধসিয়ে দেন দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে। একটি করে উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্ট, গ্রান্ডহোম, মিচেল স্ট্যানার ও জেমস নিশাম। অভিজ্ঞ বোলার টিম সাউদিকে ছাড়া শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু তার অনুপস্থিতি বুঝতেই দেননি সতীর্থরা।