বি৭১নি ডেস্ক :
নিজেদের নগরীতে সিলেট সিক্সার্স যা করে দেখাতে পারেনি তাই করে দেখাচ্ছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ আসরে চতুর্থ পর্বের খেলা চলছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম দিন রাজশাহীকে ৭৬ রানে হারানোর পর আজ শনিবার খুলনাকে ৫৮ রানে হারায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
টানা দ্বিতীয় জয়ে পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছে সিলেট। বাকি ম্যাচগুলোতে জয় ভাগ্য হয়তো নিয়ে যেতে পারে নকআউট পর্বে। তবে এ ক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলোর উপর। আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৯৫ রানের বিশাল সংগ্রহ করে সিলেট সিক্সার্স।
আফিফ, লিটন, সাব্বির ও নাওয়াজদের সমন্বিত ব্যাটিংয়ে ২০০র কাছাকাছি রান সংগ্রহ করে সিলেট। শুরুটা করেছিলেন আফিফ-লিটন। দুজনের বিধ্বংসী শুরুতেই বড় স্কোর গড়ার খোরাক পেয়ে যায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আর পেছেনে তাকাতে হয়নি। সাব্বির-নাওয়াজ ডেথ ওভারে ঝড় তুলে তুলির শেষ আঁচড় দেন সিলেটের ইনিংসে।
সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন আফিফ হোসেন। বাঁহাতি এ উদীয়মান ক্রিকেটার ৩৭ বলে ৫টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন। লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান। সাব্বির ২৯ বলে ৪৪ ও নাওয়াজ ২১ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। খুলনার দুই বোলার শুভাশিস রায় ও জুনায়েদ খান বোধড়ক মার খেয়েছেন। চার ওভারে শুভাশিস ৪৯ ও জুনায়েদ দেন ৪৯ খরচ করেন। তাইজুল ইসলাম নেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট।
জবাবে খেলতে নেমে দুরন্ত শুরু করে খুলনা। প্রথম দুই ওভারে জুনায়েদ সিদ্দীকি-টেইলর ২৩ রান তুলে নিয়ে দেন বিধ্বংসী ইনিংসের আভাস। তবে না বেশিদূর এগুতে পারেননি। তৃতীয় ওভারেই আঘাত হানেন তাসকিন। জুনায়েদ সিদ্দিকির পতনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় খুলনার আসা যাওয়ার মিছিল। ৯৭ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে ফেললে জয়ের আশা নিভে যায় খুলনার।
সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে টেইলরের ব্যাট থেকে। আরিফুল হক ২৪ ও জুনায়েদ সিদ্দীকি ২০ রান করেন। অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন নাবিল আহমেদ। তাসকিনের ঝুলিতে জমা হয় দুটি উইকেট।