ক্রীড়া প্রতিবেদক :
রানের জন্য হাপিত্যেশ করছিলেন। আগের ছয় ম্যাচে করেছিলেন ৫৬ রান। এই রানখরা কাটানো সাব্বিরের জন্য বড্ড জরুরি হয়ে পড়েছিল। সাব্বির রানখরা কাটালেন, ঝড় তুললেন ব্যাটে। সাথে সঙ্গ দিলেন নিকোলাস পুরান। তাতেই বিপিএলের সিলেট পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ১৯৪ রানের পাহাড় গড়েছে সিলেট সিক্সার্স।
টসে জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রংপুর। একটি করে চার-ছয়ে ঝড় তোলার ইঙ্গিতত দিয়েও মশরাফির বলে ফিরে যান লিটন দাস (১১)। সাব্বিরের সাথে যোগ দিয়ে রানের চাকায় গতি আনেন আফিফ হোসেন। ১১ বলে ৩টি চার, একটি ছয়ে ১৯ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন তিনিও। ডেভিড ওয়ার্নার এসে ঝড় তোলা সাব্বিরকে সঙ্গ দিতে থাকেন। এ দুজনের ৪০ বলে ৫১ রানের পার্টনারশিপ ভাঙে ওয়ার্নারের বিদায়ে। ২১ বলে ১৯ রান করে মাশরাফির বলে লং অনে হেলসের ক্যাচ হন সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক।
সাব্বিরের ব্যাটে তখন ঝড় চলছেই, ৩৪ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। এই ঝড়কে আরো বাড়িয়ে দেন পুরান। ২৭ বলে অর্ধশতকের পার্টনারশিপ গড়েন এ দুজন। শেষমেশ তাদের ৩৯ বলে ৮২ রানের বিধ্বংসী পার্টনারশিপ শেষ হয় সাব্বিরের বিদায়ে। ৫১ বলে ৮৫ রান করা সাব্বির শফিউলের বলে ক্যাচ দেন রুশোর হাতে। তার দারুণ ইনিংসে ছিল ৫টি চার আর ৬টি ছয়।
এবার বিপিএলে আগের ছয় ম্যাচে সাব্বিরের ইনিংস ছিল এরকম ৭, ০, ১২, ৬, ২০ ও ১১ রান। রানখরা কাটিয়ে অবশেষে যেন নিজেকে ফিরে পেতে শুরু করলেন সাব্বির।
নিকোলাস পুরান ছিলেন শেষপর্যন্ত। ২৭ বলে ৪টি চার আর ৩টি ছয়ে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
শেষ পাঁচ ওভারে সিলেট সিক্সার্স রান করে ৭৫। ইনিংস শেষে ৪ উইকেটে ১৯৪ রানের পাহাড়ে চড়েছে তারা।
৩১ রানে ২ উইকেট নিয়ে মাশরাফিই রংপুরের সেরা বোলার। একটি উইকেট পেলেও শফিউল দিয়েছেন ৪৩ রান।