• ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

কৈশোরে থাবা বসাচ্ছে ডিজিটাল আসক্তি

bijoy71news
প্রকাশিত আগস্ট ১৩, ২০১৮

সম্প্রতি ভিডিও গেম কিংবা ডিজিটাল গেমের প্রতি আসক্তিকে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা’ তকমা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বড় শহরের ছেলেমেয়েদের মধ্যেও ভিডিও গেম কিংবা ডিজিটাল গেমে আসক্তি বাড়ছে। ফলে আচরণগত পরিবর্তন হচ্ছে। ১২-২০ বছর বয়সীদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে।

মনোরোগ চিকিৎসকদের মতে, ‘এই আসক্তি সম্পর্কে সতর্ক হওয়া জরুরি। তবে আসক্তির মাপকাঠি সম্পর্কেও অভিভাবকদের স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার। মোবাইল ব্যবহার কিংবা ভিডিও গেম খেললেই এটাকে আসক্ত বলা ঠিক নয়। তাতে অন্য সমস্যা তৈরি হবে।’
দিনের মধ্যে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ভিডিও গেম খেললে কাউকে আসক্ত বলে মনে করা হবে। খেলার কারণে পরিবার কিংবা পড়াশোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আগ্রহ হারানোও আসক্তির অন্যতম লক্ষণ। এক্ষেত্রে পড়ুয়াদের হাঁটা-চলা, দৌড়ানোর মতো কাজ কমতে থাকে, ফলে শারীরিক দক্ষতা কমে। ঘুম কমে যায় বলে জীবনযাপনের ধারাও বদলাতে থাকে।

নিত্যদিনের কাজে পড়ুয়ারা যত সময় কম দেবে, আসক্তির মাত্রা ততই বেশি বলে বোঝা যাবে। কম বয়সীদের একাংশ দিনে প্রায় ছয় ঘণ্টা ডিজিটাল গেমে বরাদ্দ করছে, যা দৈনন্দিন রুটিনে বদল আনছে।
স্কুলের পাশাপাশি আসক্তি ঠেকাতে অভিভাবকদের নজরদারিও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। স্কুলে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বাড়িতে অবাধে ব্যবহার হচ্ছে। অনেক সময়ে সন্তানদের হাতে মোবাইল তুলে দিয়ে নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করছেন বাবা-মায়েরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাড়িতেই আসক্তি তৈরি হয়।
অনেক পড়ুয়ার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ থাকে না। তাই গেমে আসক্ত হয়, আবার অনেকে গেমে আসক্ত হওয়ায় পড়ায় মনোযোগ হারায়। সেটা নজরে রেখে চিকিৎসা শুরু করতে হয়। এই ধরনের খেলায় সহজেই সাফল্য পাওয়া যায়, তাই আসক্তি দ্রুত বাড়ে। এজন্য নানা থেরাপি রয়েছে। তবে প্রথমেই প্রয়োজন স্মার্টফোন কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ কমানো।