বি৭১নি ডেস্ক : ৩৬ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাতেই একটু অবাক হওয়ার পালা। ১২০টি ডট বল! তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম ১১১ রানের অমন দুর্দান্ত একটা জুটির পরেও ডটবলের সংখ্যাটা একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল। স্কোরবোর্ডের দিকে তাকিয়ে সাকিব আল হাসানের সেটি চোখে পড়েছে নিশ্চয়ই। সে কারণেই শেষের দিকের ওভারগুলিতে তিনি আরও বেশি করেই চড়াও হলেন ক্যারিবীয় বোলারদের ওপর। তামিম ও মুশফিকের দুটি ফিফটির সঙ্গে যোগ হলো সাকিবের ৬২ বলে ৬৫। মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেই ওশানে টমাসের গতির ঝড়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই টমাসের ইয়র্কার লেংথের একটি বলে লেগ সাইডে ফ্লিক করতে গিয়ে অ্যাঙ্কেলে আঘাত পেলেন লিটন দাস। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিতে হলো হাসপাতালে এক্স-রে করানোর জন্য। পরে অবশ্য তাঁর পায়ে কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। পরে তিনি ব্যাটিংয়েও নামলেন। তবে শুরুর ধাক্কাটা যথেষ্টই ছিল দলের জন্য। সে ধাক্কাতেই কিনা ইমরুল কায়েসও সামলাতে পারলেন না টমাসের গতি। রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটের পেছনে শাই হোপকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি।
কিছুটা এলোমেলো দলের হালটা শক্ত হাতেই ধরেছিলেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। এই জুটি ১১১ রান যোগ করে। সবচেয়ে বড় কথা তামিম ও মুশফিকের জুটি শুরুর ধাক্কাটা দারুণভাবেই সামাল দিয়েছেন এ দুজন। তামিম ৬৩ বলে ৫০ করেন ৪টি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে। তামিম ফেরেন দেবেন্দ্র বিশুর বলে ডিপ মিড উইকেটে কেমার রোচের ক্যাচ হয়ে। তামিমের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি মুশফিক। তিনি ৮০ বলে ৬২ রান করে টমাসের অফস্টাম্পের বাইরের একটি বলে খোঁচা দিয়ে ফেরেন উইকেটরক্ষক হোপকে ক্যাচ দিয়ে।
তামিম ও মুশফিকের দারুণ এই জুটি দলকে এগিয়ে দিয়ে গিয়েছিল অনেকটা পথ। মাহমুদউল্লাহ ও সাকিবের চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ৬১ রান। তবে এই জুটি একটু বেশিই ধীরে খেলছিলেন। মাহমুদউল্লাহ ৫০ বলে ৩১ রান করেন। এই একটি জায়গায় বাংলাদেশ একটু পিছিয়ে পড়েছিল। তবে সাকিব শেষ দিকে একটু গতি বাড়িয়ে সেটি সামাল দিতে চেষ্টা করেছেন।
সৌম্য সরকার ও আহত লিটন দাসের ব্যাট আজ হাসেনি। লিটন শুশ্রুষার পর মাঠে নেমে আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু কিমো পলের বলে তুলে মারতে গিয়ে হেটমায়ারের ক্যাচ হন তিনি। সৌম্য তাঁর ট্রেডমার্ক ‘পেরিস্কোপ’ শটটি খেলতে চেয়েছিলেন টমাসের গতি ব্যবহার করে। কিন্তু ব্যক্তিগত ৬ রানে তিনি ধরা পড়েন বিশুর হাতে।সাকিব আউট হয়েছেন খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। সদ্যই হাত খুলেছিলেন। উইকেটের চারদিকে নানা আঙ্গিকের শট খেলছিলেন। কিন্তু ৬২ বলে ৬৫ রান করে তিনি বোল্ড হন কেমার রোচের বলে। শেষের দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাশরাফি বিন মুর্তজা খুব একটা হাত খুলতে পারেননি। শেষ চার ওভারে এ দুজন ২১ রানের বেশি নিতে পারেননি। মিরাজ অপরাজিত ছিলেন ১০ রানে। মাশরাফি ৬ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টমাস ৫৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। এ ছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন রোচ, পল ও বিশু।