• ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত অর্ধশতাধিক

bijoy71news
প্রকাশিত নভেম্বর ৮, ২০১৮

বি৭১নি ডেস্ক : সম্প্রতি আফগানিস্তানে সংসদ নির্বাচন চলাকালে সহিংসতায় যতজন নিহত হয়েছেন, তা বিগত চার নির্বাচনের পরিসংখ্যানকে ছাড়িয়ে গেছে। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহযোগী মিশন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে অন্তত ৪৩৫ জন হতাহত হয়েছেন। তার মধ্যে ৫৬ জন নিহত এবং ৩৭৯ জন আহত হয়েছেন। নির্বাচনের আগে তিন সপ্তাহ ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চলেছিল। এ সময়ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রতিবদেনে এ সময়কার হতাহতের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

হতাহতের পাশাপাশি কিছু কিছু প্রদেশে দেরিতে ভোট নেয়া হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারণায় সরকারবিরোধী গ্রুপ বিশেষ করে তালেবান বেসামরিক লোকদের ওপর সসস্ত্র হামলায় চালানোর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি বলছে, নির্বাচনের সময় জনসমাগমস্থল ও ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত স্কুলেগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালিেয়েছে সশস্ত্র এ গ্রুপটি।

২০০১ সালে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স এবং ন্যাটো দেশগুলো কর্তৃক পরিচালিত এক যৌথ অভিযানের মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে তালেবান শাসনের অবসান ঘটানো ঘটে। এরপর থেকে তালেবান নেতারা অনেকেই বন্দী হন এবং বাকিরা পালিয়ে যান। সেইসময় থেকে সশস্ত্র এ সন্ত্রাসী গ্রপটি দেশটিতে একের পর এক চোরাগোপ্তা হামলা অব্যাহত রেখেছে। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচন বয়কট করার জন্য আফগানদের আহ্বান জানায় তালেবান।

জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তালেবান সদস্যরা রকেট, গ্রেনেড, মর্টার ও বিস্ফোরক দ্রব্য দিয়ে এসব হামলা চালিয়েছে। তবে ভোটের আগে কিছু কিছু ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে ইসলামিক স্টেট (আইএস) তার দায়ভার স্বীকার করে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহযোগী মিশন (ইউনামা) বলছে, তালেবানভীতির কারণে ভোট দেয়ার সময় দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যান সাধারণ আফগান নাগরিকরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা ভোট দিতে যাবেন কিনা-তা নিয়ে তারা সংশয়ে ছিলেন।

২০ অক্টোবরের সংসদ নির্বাচন ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের তারিখ পেছাতে বাধ্য হয়েছে দেশটির সরকার। শুধু যে নিরাপত্তার প্রশ্নে নির্বাচনের তারিখ পেছানো হয়েছে-তা নয়, নির্বাচন পদ্ধতিতে সংস্কার আনতে মতানৈক্য ও জালিয়াতির আশঙ্কাও অন্যতম কারণ।

বি৭১নি/জেএ/বিনিডে