• ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা রশিদ গ্রেপ্তার

bijoy71news
প্রকাশিত নভেম্বর ১৬, ২০২৪
চাল সিন্ডিকেটের মূলহোতা রশিদ গ্রেপ্তার

দেশের চালের বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেটের মূলহোতা রশিদ এগ্রো. লিমিটেডসহ কয়েকটি গ্রুপ কোম্পানীর স্বত্ত্বাধিকার আব্দুর রশিদকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধা ৬টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডস্থ রথখোলা থেকে কুষ্টিয়া ও রাজশাহীর তিনটি চেক ডিসঅনার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলামের আদালত ১ কোটি ৬৪লাখ টাকার একটি চেক ডিসঅনার মামলা নং সি আর- ৬৪৩/২৩ দ:বি: ৪০৬/৪২০ ধারার মামলায় আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন। আদালতের আদেশ কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের হাতে পৌছানোর পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক মাহমুদা সুলতানার আদালতে করা দুইটি সি আর মামলা নং ১৯৬০/২৪ ও ৪৮৭/২৪ দ:বি: ৪০৬/৪২০ ধারায় কুষ্টিয়ার খাজানগরের রশিদ এগ্রো. লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকার আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে করা মামলাতেও সংশ্লিষ্ট আদালত হতে গত সেপ্টেম্বর মাসে ইস্যুকৃত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে কুষ্টিয়া ও রাজশাহীর অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল আদালত হতে ইস্যুকৃত ৩টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পুলিশ পরিদর্শক শিহাবুর রহমান জানান, ‘গ্রেপ্তার আব্দুর রশিদকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুকৃত সংশ্লিষ্ট আদালতে এখনই সৌপর্দ করা হবে’। এতো দেরিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে এই পুলিশ অফিসার জানান, ‘অনেকক্ষেত্রে আদালত থেকে গ্রেপ্তারাদেশ নানা কারণে পুলিশ পর্যন্ত পৌছাতে বিলম্ব হওয়ায় পরোয়ানা তামিলেও বিলম্ব হয়ে যায়’।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুষ্টিয়ার শীর্ষস্থানীয় এক ধান ব্যবসায়ী বলেন, ‘এতোবড় একটা গ্রুপ কোম্পানীর মালিক সামান্য দুই তিন কোটি টাকার জন্য পুলিশের কাছে গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাবে; বিষয়টি সহজ সরল ভাবে বিশ্বাসযোগ্য নয়’। হাজার কোটি টাকার গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রিজে বিনিয়োগকত টাকা গেলো কোথায়?’