পাবনার সাঁথিয়ায় উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মিছিল, হামলা ও সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে সাঁথিয়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ১৪ নভেম্বর বিএনপি পাবনা জেলা কমিটি খাইরুন নাহার খানম মিরুকে আহ্বায়ক, ভিপি শামসুর রহমানকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সালাহউদ্দিন খানকে সদস্য সচিব করে সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির ২৪ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেয়। শনিবার বিকেলে নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক খাইরুন নাহার খানম মিরু ও সদস্য সচিব সালাহউদ্দিন খানের নেতৃত্বে সাঁথিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল বোয়াইলমারী বাজারে পোঁছায়।
এ সময় কমিটির ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুর রহমানের কর্মী সমর্থকরা অপরদিক থেকে ওই আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে মিছিল নিয়ে মুখোমুখি হয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে মুন্না (৩৫) হেলাল উদ্দিন (২৭), ইব্রাহিম হোসেন (৪২) হাশেমসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। এর আগে গত শুক্রবার এ কমিটি প্রত্যাখান করে ভিপি শামসুর রহমানের সমর্থকরা বেড়া সিএন্ডবি চত্বরে প্রতিবাদ ও ঝাড়ু মিছিল বের করে।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা বিএনপির সদ্য অনুমোদিত আহ্বায়ক কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান বলেন, উপজেলা বিএনপির গঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে শনিবার বিকেলে মিছিল বের হয়। এ সময় ওই সদ্য ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক খায়রুন নাহার খানম মিরু ও সদস্য সচিব সালাহ উদ্দিন খানের নেতৃত্বে একটি মিছিল আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। এতে আমার অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়।
অনুমোদিত উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব সালাহ উদ্দিন খান বলেন, আমার নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে বোয়াইলমারী বাজার থেকে ফেরার পথে ওই কমিটির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুর রহমানের কর্মী সমর্থকরা ট্রাকে করে আওয়ামী লীগের লোকজনসহ অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিছিলে অংশগ্রহণকারী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় এবং ফাকা গুলি ছোড়ে। এ হামলায় আমার অন্তত ১০ জন আহত হয়। এছাড়াও নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে।
আরাকান আর্মির নিয়ে যাওয়া জেলেদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধারআরাকান আর্মির নিয়ে যাওয়া জেলেদের মধ্যে একজনের মরদেহ উদ্ধার
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল লতিফ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উভয়পক্ষের নেতাকর্মীদের শান্ত করার চেষ্টা করে পুলিশ। এরপরও তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এখনো কোনও লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি, পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।