ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়েরকৃত সব ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি আইনে কথা বলার অধিকারের জন্য যেসব মামলা হয়েছে সব বাতিল হয়ে যাবে। তবে হ্যাকিং ও সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত মামলা থাকবে জানিয়েছেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গণহত্যার অভিযোগে রাজনৈতিক দলের বিচারের সুপারিশ করতে পারবে, এমন প্রস্তাব দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধন অধ্যাদেশ আগামীকাল (২০ নভেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে। উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে কী করবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনে আইন মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, ৪ হাজার ৩শ’ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এত বেশি সংখ্যক নিয়োগ বাংলাদেশে এর আগে ঘটেনি। এর মধ্যে সকল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে। এখন যে ঢালাও মামলা হচ্ছে, মামলা বাণিজ্য করা হচ্ছে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
এ সময়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে ২২৯ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। বলেছেন, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগে নতুন আইন করা হবে। তা সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে করা যাবে।
আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব সংগ্রহ করা হয়েছে এবং যাচাইবাছাই করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।
বিভিন্ন খাত সংস্কারে গঠিত কমিশনের প্রতিবেদন পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সরকার সংলাপ করবে বলে জানান আসিফ নজরুল।
ব্রিফিংয়ে তিনি স্পষ্ট করেন, সরকার আওয়ামী লীগের মতো দমন-পীড়ন চায় না। অযৌক্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে নানা দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার বিষয়গুলো দেখছে। তারা কঠোর হলে সরকারও ভালোভাবেই কঠোর হবে।