বিগত স্বৈরাচারী সরকার প্রায় সহস্রাধিক ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেছে উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, ‘সুশাসন থাকলে নিজ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে বুলেট ব্যবহার করা যায় না।
বুধবার (২ অক্টোবর) সচিবালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সভাকক্ষে জার্মান রাষ্ট্রদূত অখিম ট্রস্টারসহ আন্তর্জাতিক সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন।
হাসান আরিফ জানান, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল লক্ষ্য সংস্কার। যে সব প্রতিষ্ঠানে ত্রুটি রয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তা সংস্কারের ব্যবস্থা নিচ্ছে। ইতিমধ্যে ৬টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। যাদেরকে কমিশনগুলোর প্রধান করা হয়েছে তারা সবাই সমাজের বিজ্ঞজন এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ।
স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের পর নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে কিনা এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিবাদ সরকারের পতনের পর সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদের অধিকাংশ প্রতিনিধিই গা ঢাকা দিয়েছেন। এমনকি অনেক ঠিকাদারও ভয়ে এবং লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছেন না। আমরা নাগরিক সেবার কথা চিন্তা করে এসব প্রতিষ্ঠানে তাৎক্ষণিক প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছি। জন্ম-মৃত্যু সনদসহ নাগরিক সকল সেবা প্রদানে নিযুক্ত প্রশাসকগণ কাজ করছেন।
তিনি আরো বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কতদিন হবে তা জনগণ নির্ধারণ করবে। কিন্তু এই মন্ত্রণালয়ের সাথে যেসব দেশের বা আন্তর্জাতিক সংস্থার দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক প্রকল্প বিদ্যমান রয়েছে তা চলমান থাকবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো ক্ষতি হবে না।
সভায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য এফেয়ার্স হেলেন লাফেইভসহ ইউএসএইড, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি, ইউএনডিপি, ইউনিসেফসহ ইইউ এর প্রতিনিধিগণসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।