• ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ১৫ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি

খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ

bijoy71news
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ

হামলা, অগ্নিসংযোগ ও হত্যার প্রতিবাদে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে ৭২ ঘণ্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে।

শনিবার (২১ সে‌প্টেম্বর) সকাল থেকে অবরোধ শুরু হয়েছে। সড়ক অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি থেকে দূরপাল্লার কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি। শহরের ভেতর কিছু হালকা যান চলাচল করলেও যানবাহন চলাচল সীমিত রয়েছে।

এর আ‌গে, শুক্রবার (২০ সে‌প্টেম্বর) ঢাকার একটি সমাবেশ থেকে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে অবরোধ পালনের ঘোষণা দিয়েছে আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

বুধবার ভোরে খাগড়াছড়ি সদরে চুরির অভিযোগে মো. মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে খাগড়াছড়ি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঐ ঘটনার জের ধরে দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি সদরে অপ্রীতিকর ঘটনায় ৩ জন নিহত ও আরো কয়েকজন আহত হন। দীঘিনালায় পুড়িয়ে দেওয়া হয় শতাধিক দোকানপাট।

পরিস্থিতি শান্ত রাখতে জেলায় শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন।

যে কারণে বর্তমানে জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক ঘটনায় পরিবহন ভাঙচুর ও চালকদের মারপিটের ঘটনায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা পরিবহন মালিক সমিতি।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এমন তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

রাঙ্গামাটি বাস মালিক সমিতির নেতা মঈনুদ্দীন সেলিম গণমাধ্যমে বলেন, পাহাড়িরা তাদের তিনটি বাস ভাঙচুর করেছে। এ ঘটনায় পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাঙ্গামাটিতে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

রাঙ্গামাটি অটোরিকশা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, পাহাড়িরা তাদের তিনটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে। পাঁচজন চালককে বেধড়ক মারধর করেছে।

শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ির দিঘীনালায় পাহাড়ি-বাঙালি সংঘর্ষের জেরে রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষের ঘটনায় একজন নিহত হন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৫৩ জন আহত হন। বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর, মসজিদ, বৌদ্ধ বিহারে হামলা ও দোকানপাটে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাঙ্গামাটি শহরে শুক্রবার ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। বর্তমানে জেলা শহরে সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।