• ৩রা জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ৩রা রজব, ১৪৪৬ হিজরি

হেসে খেলে শিরোপা কলকাতার

bijoy71news
প্রকাশিত মে ২৭, ২০২৪
হেসে খেলে শিরোপা কলকাতার

এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সেরা দুই দলই উঠেছিল ফাইনালে। তাই দুই মাসের টি-টোয়েন্টি লড়াই শেষে ফাইনাল নিয়ে ক্রিকেট ভক্তদের আগ্রহ কম ছিল না। ভক্তরা দারুণ এক ম্যাচ দেখার আশায় টিভির সামনে বসেছিল। তবে ভক্তদের হতাশই করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালের জায়গায় একেবারে একপেশে ফাইনাল উপহার দিল দুই দল। যাতে রীতিমতো হেসে খেলে শিরোপা জিতে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

রোববার (২৬ মে) আইপিলের ১৭তম আসরের ফাইনালে চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথমে ব্যাট করে কলকাতার বোলারদের বোলিং তোপে রীতিমতো চোখে শর্ষে ফুল দেখতে থাকে হায়দরাবাদের ব্যাটাররা। ১৮.৩ ওভারে ১১৩ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। জবাবে মাত্র দুই উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কেকেআর।

এবারের শিরোপা কলকাতার ইতিহাসে তৃতীয়। এর আগে ২০১২ ও ১৪ সালে গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে শিরোপা জিতে তারা। আর দশ বছর পর এবার গম্ভীরের মেন্টরশিপে শিরোপা জিতল শ্রেয়াস আইয়ার-রিঙ্কু সিংরা।

সানরাইজার্সের দেয়া সল্প রানের লক্ষ্য কলকাতার জন্য কখোনোই দুঃশ্চিতার কারণ হয়ে উঠেনি। কলকাতার হয়ে এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি রান করা সুনীল নারাইন সল্প রানে ফিরে গেলেও তা ম্যাচের ফলে কোন প্রভাব ফেলেনি। আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও তিনে নামা ভেঙ্কাটেশ আইয়ার ছোট টার্গেটে দ্রুত রান তুলতে থাকেন।

বিশেষ করে তিনে নামা ভেঙ্কাটেশ খেলেছেন বিধ্বংসী মেজাজে। আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন গুরবাজ। তাদের দুইজনের মিলিত প্রয়াশে জয়ের একেবারে কাছে চলে যায় কলকাতা। তবে জয় থেকে মাত্র ১২ রান দূরে থাকতে ৩৯ রানে আউট হন গুরবাজ। বাকি পথে আর কোন বাধা আসতে দেননি ভেঙ্কাটেশ। অধিনায়ক শ্রেয়াসকে নিয়ে ৫৭ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেন। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৫২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। আর অধিনায়ক আইয়ার করেছেন ৬ রান। আর তাতেই ১০ বছরের অপেক্ষা ফুরিয়ে শিরোপা ফিরেছে কলকাতায়।

তবে অবশ্য কলকাতার জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন বোলাররা। ফাইনালে এসেই পুরো আসর জুড়ে বোলারদের নাকানি-চুবানি খাওয়ানো সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটাররা ছিলেন ব্যর্থ। পুরো আসরেই নিজেদের ব্যাটিং দিয়ে প্রতিপক্ষ বোলারদের নাজেহাল করেছিল তারা। আর আজ পুরো উল্টো এক চিত্র।

শুরটা করেছিলেন মিচেল স্টার্ক। পরে সেটাই ধরে রেখেছেন আন্দ্রে রাসেল-হার্ষিত রানারা। রাসেল পেয়েছেন তিন উইকেট, বাকি দুজন শিকার করেছেন দুটি করে। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স শেষদিকের লড়াইয়ে দলকে কিছুটা হলেও বলার মতো পুঁজি এনে দিয়েছেন। তার ২৪ রানের ইনিংসে ভর করেই ১১৩ রান দাঁড় করিয়েছে হায়দরাবাদ।