নুরুল হক শিপু
সিলেটে হঠাৎ যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুব সংগটন যুবলীগ। দোকানে দোকানে চাদা আদায়, গাড়ি থেকে চাদা আদায় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অরাজকতা সৃষ্টি করতে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
তাদের এমন বেপরোয়ায় সিলেটের ব্যবসায়ী, গাড়ি চালকসহ সকল মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরের জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা পয়েন্ট সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রতিপক্ষ যুবলীগের বিপক্ষে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় ছাত্রলীগ। এতে নগরে আতঙ্ক দেখা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা মতে, নগরের টিলাগড় ও বন্দর বাজার থেকে প্রায় অর্ধশত মোটরসাইকেল নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জিন্দাবাজার পয়েন্টে আসে। এসময় কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে পশ্চিম জিন্দাবাজারের দিক থেকে যুবলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী এলে পয়েন্টে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় দুপক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার উপক্রম হয় এবং এক পথচারীর মোটরসাইকলে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে মোটরসাইকেলের আগুন নেভায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
দলীয় সূত্র জানায়, সিলেটে ভারত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে শত শত গাড়িতে করে চিনির চালান আসছে নগরের কালিঘাট পাইকারি বাজারে। প্রতিটি চিনির গাড়ি থেকে টাকা আদায়ের বিষয়টি এখন নগরময় আলোচিত। এসব চোরাচালানের সঙ্গে সিলেট ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নাম ওঠে আসছে। আর চিনির গাড়ির লাইনের নিয়ন্ত্রণ নিতে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ রাতের সিলেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এরই জেরে এ দুই সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মঈন উদ্দিন সিপনকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভি করেননি। আর ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদেরও নিরব ভূমিকা দেখা গেছে।
এদিকে একইদিন ইফতারের আগ মুহুর্তে ওসমানী হাসপাতাল সংলগ্ন একটি হিন্দু মালিকানা খাবার হোটেলে চাদা না পেয়ে হামলা করে স্থানীয় ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় হোটেল মালিকসহ ৬/৭ জন আহত হয়েছেন।