হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে বেড়ে গেছে ডাক্তার পদ-পদবি ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনা। আর এমন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে গ্রাম-গঞ্জের সহজ-সরল সাধারণ মানুষকে। এমতাবস্থায় কথিত ডাক্তার নামধারী ওই কসাইদের আইনের আওতায় আনার দাবী সচেতন মহলের।
অভিযোগ রয়েছে, ডাক্তার নামধারী ওইসব লোকদের জেলাজুড়ে রয়েছে দালাল সিন্ডিকেট। দালাল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রোগী নিয়ে হাতিয়ে নেয়া হয় হাজার হাজার টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজজসহ আশপাশের এলাকায় কতিপয় কিছু নামধারী ডাঃ পদ-পদবী ব্যবহার করে নিজস্ব চেম্বার খুলে বসে আছেন। যাদের টার্গেট গ্রামগঞ্জের সহজ সরল মানুষ। বুধবার সকালে এমনই এক টার্গেট মিলে যায় গাইনি প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডা. বিউটি আক্তার-এর। নতুন ব্রীজ শিমুলতলা এলাকার ফুল মিয়ার কন্যা আসমা আক্তার (৩০) এর প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় আসমা আক্তারের বাড়িতে। পরে তিনি বাড়িতে গিয়ে নরমালে ডেলিভারির চেষ্টা করেন।
এক পর্যায়ে টানাহেচড়া করে প্রসব করাতে গেলে আসমার রক্তক্ষরণ শুরু হয় এবং নবজাতকের মৃত্যু হয়। এরপর তিনি কিছু ওষুধ দিয়ে চলে আসেন এবং বলেন তাদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য। হাসপাতালে নিয়ে আসলেও শেষ রক্ষা হয়নি আসমার। অতিরিক্ত রক্তকরণে মারা যান আসমা। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, ডেলিভারীর সময় জরায়ূ ছিড়ে ফেলায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। নবজাতকের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে ডাক্তার বিউটি আক্তার জানান, আমি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ঠিকমতোই ডেলিভাীর করিয়েছি। মা ও নবজাতক সুস্থ ছিলো। আমি আসার পর শুনেছি তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে। আমি কোনো ভুল চিকিৎসা করিনি।
এদিকে, ফুল মিয়াসহ তার স্বজনরা আসমা ও নবজাতক শিশুকে হারিয়ে পাগল প্রায়। তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।