কয়েকদিন ধরে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পর অবশেষে বাংলাদেশি সিনেমা ‘ছায়াবাজি’ থেকে বাদ পড়লেন কলকাতার জনপ্রিয় নায়িকা সায়ন্তিকা ব্যানার্জি। গণমাধ্যমকে এ কথা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন সিনেমাটির প্রযোজক মনিরুল ইসলাম।
সায়ন্তিকা ধারাবাহিক ভাবে মিথ্যা অভিযোগ করার কারণেই তাকে ‘ছায়াবাজ’ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে এই সিনেমার পরবর্তী নায়িকা কে হবেন, তা এখনো চূড়ান্ত করেননি প্রযোজক মনিরুল ইসলাম।
প্রযোজক গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সায়ন্তিকাকে বদলে তিনি দেশি কোনো নায়িকা নিয়ে সিনেমার কাজ করবেন। মনিরুল বলেন, ‘এত মিথ্যাচার আর নিতে পারছি না। সায়ন্তিকার সঙ্গে আর কাজ করব না। দেশি শিল্পী নিয়ে নতুন করে সিনেমার কাজ শুরু করব।’
‘ছায়াবাজি’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য গত আগস্টের শেষ দিকে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন সায়ন্তিকা। শুটিং শুরু করেন কক্সবাজারে ছুটে যান সায়ন্তিকা। কয়েক দিন পরই নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে কলকাতায় চলে যান সায়ন্তিকা।
এই নায়িকার অভিযোগ ছিল, নৃত্য পরিচালক মাইকেল বাবু অনুমতি না নিয়েই তার হাত ধরেছিলেন। যদিও সায়ন্তিকার এই অভিযোগকে হাস্যকর বলেন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। তার যুক্তি, শুটিংয়ের সময় নৃত্য পরিচালক নাচের মুদ্রা দেখানোর জন্য নায়ক বা নায়িকার হাত ধরতেই পারেন, এটা খুবই স্বাভাবিক। তার জন্য অনুমতি নেওয়ার রীতি পৃথিবীর কোনো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে চালু নেই।
যদিও শুধু সায়ন্তিকা নন, অভিযোগ রয়েছে এই সিনেমার নায়ক জায়েদ খানেরও। তিনি জানান, ‘ছায়াবাজি’র প্রযোজক বড়ই অপেশাদার। তার কাজ অগোছালো। খরচের হাতও নাকি খাটো। কক্সবাজারের হোটেলে নায়ক-নায়িকার থাকা-খাওয়ার বিলের একটা অংশ নাকি তাকে মেটাতে হয়েছে বলে দাবি জায়েদ খানের।
তবে এসব অভিযোগ মানতে না-রাজ প্রযোজক মনিরুল ইসলাম। কয়েকদিন আগে তিনি ইঙ্গিত দেন, ‘ছায়াবাজি’ থেকে সায়ন্তিকার পাশাপাশি জায়েদ খানও বাদ পড়তে পারেন। যদিও সে ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি মনিরুল ইসলাম।
এই প্রযোজকের শেষ কথা, কয়েকদিনের শুটিংয়ে তার প্রায় ৩৫ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। সে কারণে তিনি চান, সিনেমাটির শুটিং শেষ হোক। তবে সায়ন্তিকা নন, দেশের কোনো নায়িকা নিয়ে তিনি বাকি কাজ শেষ করতে চান।
