বি৭১নি ডেস্ক ::
জয়পুরহাটে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক মাস ধরে বেড়েই চলেছে। জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের তথ্যানুসারে, প্রতিদিন এই হাসপাতালে ৬০ থেকে ৭০ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন।
হাসপাতালের নির্ধারিত ডায়রিয়ার ওয়ার্ডে রোগীর স্থান সংকুলান না হওয়ায় বাধ্য হয়ে অনেককেই বারান্দা কিংবা কড়িডোরের মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
অন্যান্য রোগীর পাশাপাশি ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের।
ফলে প্রতিদিনই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২/১ জন ডায়রিয়ার রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
জানা গেছে, জয়পুরহাট জেলার ৫টি উপজেলার রোগী ছাড়াও এ জেলার পাশে অবস্থিত কয়েকটি এলাকা থেকে রোগীরা সেবা নিতে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে আসেন।
ফলে মাত্র দেড়শ শয্যার এই হাসপাতালে সব সময় দ্বিগুনেরও বেশি রোগীর বাড়তি চাপ থাকে। তার ওপর বর্তমানে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সদের চরম ধকল সইতে হচ্ছে।
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র নার্স নাসিমা সুলতানা জানান, প্রতিদিনই একদিকে সুস্থ হয়ে একদল বাড়ি চলে যাচ্ছেন, অন্যদিকে চিকিৎসা নিতে নতুন করে একদল রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এমনিভাবে গড়ে ৫০ জনেরও বেশি নতুন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হচ্ছেন। হাসপাতালে নতুন ও পুরোনো মিলে সব সময় ৬০ থেকে ৭০ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়ে থাকছে।
তিনি অভিযোগ করেন, কেবল ডায়রিয়ার রোগীই নয়, স্থান সংকুলান না হওয়ায় চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদেরও ঠিকমতো বসার জায়গার নেই। সমস্যা রয়েছে বাথরুম ও টয়লেটেরও।
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমান মিজান জানান, ‘জনবল কম থাকায় অধিক সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা দিতে আমরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি।’
তিনি বলেন, মৌসুম পরিবর্তন ও সিজনাল ভাইরাসের কারণে অনেকেই ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন। সবাই যদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকেন এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলেন, তাহলে দ্রুত এ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. রাশেদ মোবারক জুয়েল জানান, ‘হাসপাতালে ডায়রিয়ার ওষুধের অভাব নেই। তবে জনবলের অভাব এবং শয্যা সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি অন্য রোগীদেরও বাধ্য হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’