• ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

লিওনেল মেসি বোঝালেন কেন তিনি বার্সার প্রাণ

bijoy71news
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১
লিওনেল মেসি বোঝালেন কেন তিনি বার্সার প্রাণ

বি৭১নি ডেস্ক ::
লিওনেল মেসির চলমান চুক্তি ‘লিক’ হওয়ার পর নানা আলোচনা। অনেকে ‘অবিশ্বাস্য’ অঙ্কের চুক্তিকে বার্সেলোনার অর্থনৈতিক খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী করছেন। কেউ আবার এই চুক্তির পক্ষে দাঁড়িয়ে বলছেন, মেসি এটার দাবিদার, তিনি ছাড়া বার্সেলোনা ‘অচল’! কথাটা কতটা সত্য, সেটার প্রমাণ আরেকবার পাওয়া গেল। বেঞ্চ থেকে উঠে এসে আর্জেন্টাইন সুপারস্টার বুঝিয়ে দিলেন, কেন তিনি বার্সার ‘প্রাণ’।

মেসি জাদুতে শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচ জিতেছে কাতালানরা। রিয়াল বেতিসের মাঠে পিছিয়ে পড়েও মাঠ ছেড়েছে ৩-২ গোলের জয় নিয়ে। বার্সেলোনার তিনটি গোলই এসেছে দ্বিতীয়ার্ধে মেসি মাঠে নামার পর। এই জয়ে ২১ ম্যাচ শেষে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখলো তারা। সমান ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের সমান পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় তারা তিন নম্বরে। ১৯ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আতলেতিকো মাদ্রিদ।

চার দিন আগে কোপা দেল রে’র কোয়ার্টার ফাইনাল ঘাম ঝরিয়ে জিততে হয়েছে। বার্সা খেলোয়াড়দের খেলতে হয়েছিল ১২০ মিনিট। রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে তাই মূল একাদশের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বেঞ্চে রেখেছিলেন কোচ রোনাল্ড কোম্যান। কারণ দুই দিন পরই আবার কাপের সেমিফাইনালে লড়তে হবে। মেসিকে হয়তো দ্বিতীয়ার্ধের কোনও একসময়ে নামানোর পরিকল্পনা ছিল কিংবা প্রয়োজন না পড়লে না নামানোর ভাবনাও হয়তো ছিল তার। কিন্তু বেতিসের এগিয়ে যাওয়া এবং দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণে গতি না থাকায় ৫৭ মিনিটে মেসিকে নামান কোম্যান।

আর নেমেই আর্জেন্টাইন তারকা বুঝিয়ে দিলেন, তিনি মাঠে থাকলে কী হয়। নামার দুই মিনিটের মধ্যে সমতায় ফেরান দলকে। গোলমুখে নেওয়া প্রথম শটেই করেন লক্ষ্যভেদ। উসমান ডেম্বেলের পাস বক্সের ভেতর সামান্য এগিয়ে নিচু শটে জাল খুঁজে পান। বেতিস গোলকিপার ঝাঁপালেও বল পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। এতে ৩৮ মিনিটে বোর্হা ইগলেসিয়াসের গোলে পিছিয়ে পড়া বার্সেলোনা খেলায় ফেরে।

এমনভাবে তারা খেলায় ফিরলো যে বেতিসকে আক্রমণ ঠেকাতেই হিমশিম খেতে হচ্ছিল। মেসি না থাকায় মাঝমাঠের সঙ্গে আক্রমণভাগের যে সমন্বয়হীনতা ছিল, সেটা কেটে গিয়ে ছন্দময় ফুটবলের প্রদর্শনী চলতে থাকে বেনিতো ভিলামারিনে। ফুল ফুটানো ফুটবলে এগিয়ে যেতেও সময় লাগেনি কোম্যানের দলের। ৬৮ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে লিড পায় বার্সেলোনা। এই গোলের উৎসও মেসি। তার বড়ানো থ্রু বল জোর্দি আলবার ক্রস হয়ে পেয়ে যান একেবারে গোলমুখে থাকা আতোঁয়া গ্রিজমান। ফরাসি ফরোয়ার্ড পা-ও ছোঁয়ালেন, কিন্তু ঠিকঠাক হয়নি। যদিও ভাগ্যের সহয়তায় গোল ঠিকই পেয়ে যায় তারা। ফিরে আসা বল নিজেদের জালেই জড়িয়ে দেন বেতিসের ভিক্তর রুইস।

তবে ওই রুইসই আবার ৭৫ মিনিটে হেড থেকে লক্ষ্যভেদ করে খেলায় ফেরান উত্তেজনা। ২-২ সমতায় ড্রয়ের পথে এগোতে থাকা ম্যাচের শেষ মুহূর্তে সব আলো নিজের ওপর ফেলেন ফ্রান্সিস্কো ত্রিনকাও। শেষ বাঁশি বাজার তিন মিনিট আগে বাঁ পায়ের বাঁকানো শট জালে জড়িয়ে পর্তুগিজ উইঙ্গার পান বার্সেলোনা ক্যারিয়ারের প্রথম গোল। আর এই গোলেই নিশ্চিত হয়ে যায় কাতালানদের পূর্ণ ৩ পয়েন্ট।

এখানেও মিশে আছেন মেসি। ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ীর বাড়ানো বল বেতিসের এক ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে ফিরে আসাতেই বক্সের ভেতর পেয়ে যান ত্রিনকাও। বাকিটা… কাতালানদের জয়ের আনন্দে ভেসে যাওয়া!