• ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

প্রবাসীর বাসার ভেতর থেকে ৪০ বছর আগের গাছ কর্তন!

bijoy71news
প্রকাশিত অক্টোবর ৩১, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক ::
দীর্ঘদিন থেকে সপরিবারে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন আব্দুল মানিক। তার পৈতৃক বাড়ি সিলেট নগরীর আম্বরখানাস্থ খাজদবীর এলাকার দুরুস সালাম মাদ্রাসা সড়কের বন্ধন জি-১ ব্লকের নেহার ভিলা। আব্দুল মানিক সপরিবারে যুক্তরাজ্যে থাকায় প্রাচীন এ বাড়িটি এখন জনশূন্য। বাড়ির ভেতরের মনোরম পরিবেশ রক্ষা করেছে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় গাছ। সেই বাড়ির বড় একটি দামি গাছের উপর নজর পড়ে প্রতিপক্ষের। তারা ৪০ বছর আগের মূল্যবান গাছটি কেটে নিয়ে যায়।
একাধিক সূত্র জানায়, একই এলাকার মৃত মাসুক মিয়ার ছেলে মিশু আহমদ ও ফারহান ইসলাম মিতু লোকচক্ষুর অন্তরালে কোনো এক রাতে প্রবাসী আব্দুল মানিকের নেহার ভিলায় সহযোগিদের নিয়ে প্রবেশ করে ৪০ বছর আগের পুরোনো একটি গাছ কেটে নিয়ে যায়। দেশে আত্মীয়-স্বজন না থাকায় অনেকটাই অসহায় রয়েছেন প্রবাসী আব্দুল মানিক।
যুক্তরাজ্যে আব্দুল মানিকের সাথে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মিশু আহমদ ও ফারহান ইসলাম মিতু দীর্ঘদিন থেকেই আমাদের পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করে চলছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমার বাড়ির ভেতরে অন্যায়ভাবে প্রবেশ করে ৪০ বছর আগের গাছ কেটে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, সাড়ে তিন বছর আগে আমি দেশে আসলে মিশু আহমদ ও ফারহান ইসলাম মিতু আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। আমি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় অভিযোগ দাখিল করি। মিশু পালিয়ে গেলেও তার ভাই মিতুকে পুলিশ সেসময় গ্রেপ্তার করেছিল। তিনি বলেন, এখন আমি সপরিবারে যুক্তরাজ্যে থাকার কারণে মিশু ও মিতুরা তাদের সহযোগিদের নিয়ে আমার বাড়ির মূল্যবান গাছপালার দিয়ে কু-নজর দিয়েছে। তিনি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মিশু আহমদ গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন, আব্দুল মানিক দীর্ঘদিন থেকে প্রবাসে আছেন তাও ঠিক। বাড়িতে একজন হুজুর কেয়ারটেকারের দায়িত্বে রয়েছেন। যে গাছটি কাটা হয়েছে গাছটি পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই বিষয়টি কেয়ারটেকারকে জানিয়ে গাছটি কেটে ফেলেছি। গাছ কাটার আগে প্রবাসী আব্দুল মানিককে না জানানোর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি কেয়ারটেকারের দায়িত্বে থাকা হুজুরকে জানিয়েছি।
একাধিক সূত্র জানায়, মিশুর বিরুদ্ধে একের অধিক মামলা রয়েছে। অবশ্য মিশু নিজে দাবি করেছেন বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বাড়ির মালিক নিজেও যদি গাছটি কাটতে হয় তবে অবশ্যই বনবিভাগকে আবেদন করে অনুমতি নিয়ে কাটতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রবাসীর বাড়ির গাছ প্রতিপক্ষ কেটে নিয়ে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। তিনি বলেন, ওই প্রবাসীর উচিৎ দ্রুত আইনী সহায়তা নেয়া।
এ ব্যাপারে এয়াপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম শাহাদাৎ হোসেন বলেন, গাছ কর্তনের ব্যাপারে কেউ থানায় অভিযোগ করেননি। যেহেতু আব্দুল মানিকের সকলেই প্রবাসে তাই তাদের কোনো স্বজন অভিযোগ করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।