• ২০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২৯শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

সেই সাকিবই কাঁপাচ্ছেন বিশ্ব

bijoy71news
প্রকাশিত জুলাই ৩, ২০১৯

বি৭১নি ডেস্ক :
বিশ্বে সাকিব আল হাসান যে একজনই, তা তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন চোখে আঙুল দিয়ে। ব্যাটিং কিংবা বোলিং, উভয় বিভাগেই দারুন পারদর্শিতা দেখিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। অলরাউন্ডার হয়েও চলতি বিশ্বকাপে সেরা রান সংগ্রহাকের তালিকায় এক-দুইয়ের মধ্যেই ওঠা-নামা করছেন, সেটি অবশ্য কারও অজানা নয়। বিশ্বকাপে এই সাকিবই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশকে!
টাইম মেশিনে চড়ে বিশ্বকাপের আগে যাওয়া যাক। এবার বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হয় আয়ারল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের মাধ্যমে। এই সিরিজের জন্য মাশরাফী-সাকিবদের দেশ ত্যাগের যাত্রাটি হয়ে যায় বিশ্বকাপ যাত্রা। প্রতি চার বছর পরপর আসে এই বিশ্বকাপ। তাই বিশ্বকাপের উদ্দেশে যাত্রা নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা, বাড়তি উচ্ছ্বাস থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তাই ওই সময়ে বিশ্বকাপ যাত্রাকে কেন্দ্র করে মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়াম রূপ নেয় উৎসবের আমেজে।
বিশ্বকাপের জার্সি পরে টাইগারদের অফিসিয়াল ফটোসেশন, মিডিয়া সেশন কত কিছু! তবে সেই উৎসব থাকেনি বেশিক্ষণ। কারণ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল ফটোসেশনে আসেননি সাকিব। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা সদস্যরা ছবি তুলেছেন, অথচ ছিলেন না অন্যতম সদস্য সাকিব। উপস্থিত সাংবাদিকদের মাঝেও গুঞ্জন ছিল, সাকিব কেন সেখানে যাননি। শেষ পর্যন্ত সাকিবের না থাকার বিষয়টি নিয়ে ব্যাখা দিতে হয় বিসিবি সভাপতিকে। এই বিতর্কে সাকিব কথা না বললেও তার স্ত্রী চরম ক্ষেপেছিলেন সমালোচনাকারীদের ওপর।
ওই অনুষ্ঠানে সাকিবের না থাকা নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, ‘এটা দুঃখজনকছ। যেহেতু টিম ফটোসেশন ছিল। আমি এসে জিজ্ঞেস করেছি, এখানে পৌঁছে তখন আমি ফোন করেছিলাম সাকিবকে। জিজ্ঞেস করেছিলাম, কোথায় তুমি। ও যে এসেছে আমি জানিও না। পেপারে পড়ে দেখেছি। ও বলল, আপনার বাসায় আসব রাতে। বললাম, এখনই ব্যাক করো। ও বললো, আমি তো বের হয়ে গিয়েছি।’
এখানেই শেষ নয়, উপস্থিত এক ক্রীড়া সাংবাদিক বিসিবি সভাপতিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, সাকিবের ফটোসেশনে না থাকায় টিমের ইউনিটিতে প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নে পাপন বলেছিলেন, ‘আমার মনের হয় এতদিনে টিমের অন্যরা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। যাই হোক, এ ছাড়া আর কী বলব। আমি মনে করি এটা ওর জন্যই দুর্ভাগ্য।’
সারা দেশে হইহই রব পড়ে গেলেও দলে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। আর সাকিব তো এসব দেখেন-ই না। এই তো কদিন আগে সাকিব বলেছিলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কে-কী বলল, এসব তিনি দেখেনই না। তবে সাকিব ফটোসেশনে না এসে বিতর্ক তৈরি করলেও বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকে নজরকাড়া পারফর্মেন্স করে সব মাটিচাপা দিয়েছেন। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, মাঠের বাইরে কত কিছুই হবে, এসব আসলে কিছুই না, মাঠেই যে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবে সেই সেরা। যেটা যাকিব করে দেখিয়েছেন।
একটা ছোট পরিসংখ্যান দিয়ে ইতি টানি। চলতি বিশ্বকাপে সাকিবের রান ৫৪২, আর দলের বাকি সবার রান ১৩৯৩! প্রায় অর্ধেক রানই সাকিবের। এ ছাড়া মুশফিকের রান ৩৫১। এর বাইরে বোলিংয়েও সাকিব দুর্দান্ত। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আট ম্যাচে তিনি উইকেট শিকার করেন ১১টি। তার মধ্যে এক ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।